নেপালের কাঠমান্ডুতে নিহত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ফরিদপুরের এস এম মাহমুদুর রহমান রিমন (৩২)। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। অফিসের কাজে নেপাল যাচ্ছিলেন তিনি। রিমনের আয়েই চলতো পুরো পরিবার। পরিবারের বড় সন্তানকে হারিয়েছে এখন বিহ্বল পুরো পরিবার।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া গ্রামের শাহ মো. মশিউর রহমান নিরু মিয়ার বড় ছেলে রিমন। তার মৃত্যুর বিষয় জানার পরপরই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার।
রিমনের বাড়িতের গিয়ে দেখা যায় তার মা লিলি বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। একমাত্র ভাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আর কোনও কথাই বলতে পারছেন না বাবা মশিউর রহমান। শোকাহত পুরো গ্রামবাসী। তার লাশ শনাক্ত করতে স্বজনরা নেপাল গেছেন।
রিমনের চাচা শাহ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, রিমন লেখাপড়া শেষ করে প্রায় সাত বছর আগে ঢাকায় রানার অটোমোবাইলস লিমিটড কাম্পানিতে চাকরি নেন। তিনি প্রধান কার্যালয়ে সিনিয়র ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের কাজে রিমন নেপাল যাচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, ছয় বছর আগে রিমন বিয়ে করেন। রিমনই বাবা-মায়ের পরিবারের সব খরচ বহন করতেন। দুই মাস আগে তিনি সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন।
রিমনের আরেক চাচা এস এম জালালউদ্দিন বলেন, বিমান বিধ্বস্তের পর আহত অবস্থায় রিমনকে নেপালের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে আমরা যোগাযোগ চালিয়ে যাছি।’