X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এএসআই বিকাশের ওপর হামলাকারী জালাল ছিলেন মামলার সাক্ষী

সাইফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
১৮ মার্চ ২০১৮, ২১:০৪আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৮, ১৫:৪৪

এএসআই বিকাশকে ঢাকায় আনা হচ্ছে মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক বিকাশ চন্দ দের (৪০) ওপর হামলাকারী জালাল মিয়া ছিলেন একটি মামলার সাক্ষী। বার বার নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসছিলেন না। শনিবার রাতে ফোর্সসহ তার বাড়িতে যান এএসআই বিকাশ। সঙ্গে ছিলেন ইউপি সদস্য আব্দুল মুহিতও। সেখানে এক পর্যায়ে জালাল মিয়া বিকাশের ওপর হামলা করেন। ইউপি সদস্য আব্দুল মুহিত বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিকাশের বুকে দেশীয় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।’

জালাল মিয়া (৪০) মৌলভীবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের সিআর মামলার (দায়রা ১০২/১৫)  সাক্ষী।

এএসআই বিকাশ চন্দ্র এখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইচ) চিকিৎসাধীন।

ইউপি সদস্য আব্দুল মুহিত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জালাল মিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০ নম্বর নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপাশা গ্রামের মৃতু ছন্দু মিয়া ছেলে।তিনি বিচারাধীন একটি মামলার সাক্ষী। একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি সাক্ষ্য দিতে না আসায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। জালালকে আদালতে হাজির করার জন্য নির্দেশ দিলে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে ফোর্সসহ শনিবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় আমিও  উপস্থিত ছিলাম। তখন তার বসতঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশ তার নাম ধরে ৩০/৩১ বার ডাকাডাকি করে। কিন্তু, জালাল মিয়া কোনও জবাব দেয়নি। বরং পুলিশের ডাকাডাকির শব্দ শুনে পাশের মানুষ জেগে উঠলেও তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি। তারপরও পুলিশ জোরে জোরে বলে, আমরা আইনের লোক। আমাদের সঙ্গে স্থানীয় মেম্বার ও এলাকার লোকজন আছে দরজা খোলেন। এক পর্যায়ে জালাল ঘর থেকে বের হয়ে হাতে থাকা লম্বা দা দিয়ে বিকাশের বুকে কোপ দেয়। এতে এএসআই  বিকাশ চন্দ্র দে গুরুতর আহত হন। এ সময় সঙ্গে থাকা পুলিশ ফোর্সরা জালালকে দাসহ ঝাপটা ধরে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়।’  

ইউপি সদস্য আব্দুল মুহিত আরও বলেন, ‘জালাল মিয়ারা তিন ভাই। দুই ভাই মারা গেছে। তার এক ছেলে ও স্ত্রী আছে। বিরোধ থাকায় স্ত্রী তার সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে গেছ।’

মৌলভীবাজার মডেল থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক ফিলা বেগম রবিবার সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভোররাতে গুরুতর আহতাবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিকাশকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার বক্ষব্যাধী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়ের কোপে বিকাশের বুকের হাড় কেটে গেছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।’

ফিলা বেগম আর ও বলেন, ‘জালাল মৌলভীবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের সিআর মামলার (দায়রা ১০২/১৫) সাক্ষী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক। আদালত থেকে একাধিক বার নোটিশ জারি করলেও তিনি হাজির হননি।’ 

তার বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা অথবা সে কোনও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা নাই। শুধু একটি মাত্র মামলার সাক্ষী হিসেবে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তবে এখন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।’

 

/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
নির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভানির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ