মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকনকে বৃহস্পতিবার বিকালে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া আকনকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আহত চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় প্রতিপক্ষ সাহেব আলী মাতুব্বরের নেতৃত্বে একদল হামলাকারী দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এজাজুর রহমান আকনের ওপর চড়াও হয়। তিনি এক ব্যক্তির জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে ফিরছিলেন।হামলাকারীরা তার মাথায় লোহার হাতুড়ি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকন বলেছেন, সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতরভাবে আঘাত করে। এছাড়া দুই পায়েও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না এলে তাকে মেরে ফেলা হতো। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন।
এজাজুর রহমানের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মনি জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার স্বামীর অবস্থাকে আশঙ্কাজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রাথমিকভাবে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে রাখা হলেও পরে অবস্থার অবনতি হতে দেখে হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি কামরুল হাসান বলেছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় সাহেব আলী মাতুব্বর ও চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকনের মধ্যে প্রায় দুই বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।