মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গত পাঁচ বছর মেয়র থাকাকালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছর রাজশাহীতে কোনও উন্নয়ন হয়নি। যে মেয়র ঈদের আগে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারেন না, বরং বেতন দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়ান, তিনি ১০ লাখ মানুষের কল্যাণ করবেন কিভাবে? বিএনপির বুলবুলকে দিয়ে অতীতে কোনও উন্নয়ন হয়নি, আগামীতেও হবে না।’
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রাজশাহী শাখার আয়োজনে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘কর্মসংস্থান ছাড়া রাজশাহীর মানুষকে উন্নয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। আমি শিল্পায়নের মাধ্যমে একলাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দিতে চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ ছাড়া, নগরীর যত উন্নয়ন দরকার, সব করবো। এজন্য সবার সহযোগিতা ও ভোট প্রয়োজন। আমাকে ভোট দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিন।’
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘কাজ করলে মানুষ পুরস্কৃত হয়। কিন্তু ২০১৩ সালের নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছিলাম। এর কারণে দেশ এগিয়ে গেলেও রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটির কোনও উন্নয়ন হয়নি। বিএনপির মেয়রদের অযোগ্যতার কারণে তারা প্রকল্প এনে উন্নয়ন করতে পারেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ বছরে রাজশাহীর মানুষ বুঝে গেছেন, কাকে দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব। একটা সময় আমরা একসঙ্গে উন্নয়ন করেছি। এরপরও ২০১৩ সালে হেরেছি। তবে এবার খুলনা থেকে উন্নয়নের ভোট শুরু হয়েছে। আগামীতে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ এসেছে। লিটন সাহেবকে যদি রাজশাহীবাসী যদি নির্বাচিত করতে পারেন, তবে তিনি যে উন্নয়ন করবেন তা অন্য কাউকে দিয়ে হবে না। রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প নেই।’
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রাজশাহী জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. চিন্ময় কান্তি দাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল ও পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ।