চাঁদপুর জেলার মতলবে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার আমুয়াকান্দা গ্রামে ত্রাণমন্ত্রী মায়া চৌধুরীর সমর্থক ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম খোকা পাটওয়ারীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণার লক্ষে শুক্রবার মোটর শোভাযাত্রার অনুমতি চান কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খোকা পাটওয়ারী। কিন্তু ওই একই দিন মতলব উত্তরের নন্দলালপুর, কালিপুর, ছেংগারচর, নয়াবাজার, মোহনপুর, আমুয়াকান্দা বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভার কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ কারণে খোকা পাটওয়ারীকে মোটরশোভাযাত্রা করার অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু খোকা পাটওয়ারী মোটর শোভাযাত্রা বের না করলেও শুক্রবার সকাল ১১টায় ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর সমর্থকরা মোটর শোভাযাত্রা বের করে। ওই শোভাযাত্রা আমুয়াকান্দা গ্রামে এলাকায় যাওয়ার পর আমুয়াকান্দা গ্রামে খোকা পাটওয়ারীর সমর্থকরা লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান নিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন। সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু বলেন, ‘আমি একটি কুলখানি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় দেখি খোকা পাটওয়ারীর লোকজন ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জর্জসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এ অবস্থায় আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ি।
কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খোকা পাটোয়ারী বলেন, ‘আমি গত এক মাস আগে মোটর শোভাযাত্রার কর্মসূচী ঘোষণা করি। কিন্তু ত্রাণমন্ত্রী ও তার ছেলের লোকজনের কারণে শোভাযাত্রা নিয়ে বের হইনি। মারামারি এবং হামলা বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
ওসি আনোয়ারুল হক কামাল বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।