X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিশালে মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার হত্যায় অংশ নেয় ৭ জন

আতাউর রহমান জুয়েল, ময়মনসিংহ
৩১ আগস্ট ২০১৮, ২০:২৩আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০১৮, ২১:০৮

মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ময়মনসিংহের ত্রিশালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর রহস্যের জট উদঘাটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই ময়মনসিংহ। হত্যাকাণ্ডে সাতজন অংশ নেয়। আদালতে দুই আসামি জবানবন্দিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক জানান, আব্দুল মতিন মাস্টার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। খুব শিগগিরই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

গত ৩ জুলাই বাড়ির পাশে নিজ ফিশারির ভেতর খুন হন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার। ত্রিশাল থানা পুলিশ ওই দিন সকালে খাঘাটি গ্রামের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের পক্ষে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ত্রিশাল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে কোনও কূলকিনারা না পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে গত ১৩ আগস্ট মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই ময়মনসিংহ। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে পিবিআই ত্রিশালের নারায়ণপুরের আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন রুবেল (৩০), চাঁন মিয়ার ছেলে সেলিম ডাকাত (৪০), ইমান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৬) ও খাঘাটি গ্রামের দুলাল মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাতে সেলিম ডাকাতের বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাইনিজ কুড়াল ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গ্রেফতার হওয়া ইদ্রিস ২৩ আগস্ট ও সোহাগ ২৮ আগস্ট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আব্দুল মতিন মাস্টার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ জানায়। তারা জানায়, গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনসহ মোট সাতজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

পিবিআই জানিয়েছে, গত ইউপি নির্বাচনে খাঘাটি গ্রামের মোবারক হোসেন আকন্দ নামে এক মেম্বার প্রার্থীর বিরোধিতা করেছিলেন আব্দুল মতিন মাস্টার। এছাড়া ত্রিশালে একটি বহুজাতিক কোম্পানির জমির কেনাবেচায় দালালচক্রের সঙ্গেও বিরোধ ছিল মতিন মাস্টারের। এসবের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা।

মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, মোবারক হোসেন মেম্বার বিভিন্নভাবে তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন খান জানান, মতিন মাস্টার সৎ রাজনীতিবিদ ছিলেন। সমাজের দুষ্টু এবং খারাপ প্রকৃতির মানুষের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তাকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন তিনি।

/এনআই/চেক/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
দেশের জন্য কাজ করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দেশের জন্য কাজ করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী