নাটোরের বড়াইগ্রামে জঙ্গি সন্দেহে ১৯ জনকে আটকের দুই ঘণ্টা পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, আটককৃতরা জঙ্গি নন, হিজবুত তাওহিদ সদস্য। তারা ‘বজ্রকণ্ঠ’ পত্রিকার প্রচার আর সাংগঠনিক কাজে জড়ো হয়েছিলেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, ‘শুক্রবার রাতে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের নটাবাড়ীয়া গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে ৫০-৬০ জন লোক গোপন বৈঠক করছে সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। বৈঠকে জেলার বাইরের মানুষও ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে নারীসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নিজেদের হিজবুত তাওহিদ সদস্য বলে দাবি করেন। তারা বজ্রকণ্ঠ পত্রিকার কাজে এসেছিলেন।’
ওসি জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদ করে মিটিং করার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আর হিজবুত তাওহিদ নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার নটাবাড়ীয়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে সোহেল রানা (৩৬), আফতাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২), শাহজাহান আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫), বনপাড়া পৌরসভার দিয়ারপাড়া গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (৩২) ও আব্দুর রাজ্জাক (২৭), আব্দুল লতিফের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৩২), বনপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৯), কালিকাপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সবুর খান (৩৫), আগ্রাণ গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে বাদশা মিয়া (৪৪), পাবনার চাটমোহর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আকরাম হোসেন (৩৫), সদর থানার চরগোবিন্দপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩১), রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার বিলশিমলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান (৪৫), মতিহার থানার শ্যামপুর এলাকার ওবায়দুর রহমানের ছেলে রবিউল করিম (৪৫), বোয়ালিয়া থানার তালাইমাড়ি এলাকার সোনা শেখের ছেলে তোতা শেখ (৫০), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দুর্গাপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫০), ঝিনাইদহের মহেষপুর গ্রামের আলী কদরের ছেলে শামসুজ্জামান মিলন (৩০), নরসিংদী জেলার সদর থানার পাথরপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা বেগম (৩৫), মেহেরপুর জেলার গাঙনী থানার দেবীপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে বেনু বেগম (৩৬) ও রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার বালুদিয়ার গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে লাভলী বেগম (৩৪)।