X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:১৫আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:২১
image

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের (কুভিক) বিভিন্ন বিভাগের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজের সমাজকর্ম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের এই অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন শ্রেণি ঘোষণা করে একশ টাকা থেকে ছয়শ টাকা পর্যন্ত ফি আদায়ের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জামানত বাবদ পাঁচশ টাকা করে আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষক রুমের এসির জন্যও তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়েছে। আর এসবের জন্য দেওয়া হয়নি কোনও রশিদ। কুভিকের অধ্যক্ষ বলেছেন, তিনি ২৫ টাকা করে ফি আদায়ের আদেশ দিয়েছিলেন, এর বেশি নয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানরা অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন শ্রেণিতে ফি আদায় করা হয়েছে। ফি নেওয়ার তিনটি শ্রেণিকে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ নাম দিয়ে অর্থ আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। যারা কোনও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি তাদের কাছ থেকে ‘এ’ শ্রেণিতে ছয়শ টাকা করে ফি আদায় করা হয়েছে। ‘বি’ শ্রেণিতে চারশ টাকা করে আদায় করা হয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ইনকোর্স পরীক্ষার মধ্যবর্তী যেকোনও একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। ফি আদায়ে ‘সি’ শ্রেণিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে তাদের কাছ থেকে একশ টাকা করে আদায় করা হয়েছে যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। আর দ্বিতীয় ভাগে এক বা একাধিক বিষয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছ দুইশ টাকা করে ফি নেওয়া হয়েছে।

এসব শ্রেণিভিত্তিক ফি ছাড়াও কলেজের সমাজকর্ম বিভাগ শিক্ষক রুমের এয়ারকন্ডিশনার (এসি) বাবদ পাঁচশ টাকা করে আদায় করেছে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগও ২০১৫-২০১৬ সেশনের মাস্টার্স পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে ৫০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। তাছাড়া বিভাগের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জামানত বাবদ পাঁচশ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ করেছেন ওই সেশনের শিক্ষার্থীরা।

পেয়ার, জালাল উদ্দিন, মোঃ রনিসহ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘বিভাগের শিক্ষকদের অফিস রুমের এয়ারকন্ডিশনার (এসি) কিনতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক ফি আদায় করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসহায় ও দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। তাদের জন্য পরীক্ষার ফি দেওয়াটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে অতিরিক্ত ফি পরিশোধে শিক্ষার্থীরা হিমশিম খাচ্ছে।’

অভিযোগগুলো অসত্য দাবি করে সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নূর মোহাম্মদ হারেসি বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের কোনও ফি আদায় করিনি। শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য পাঁচশ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।’ অতিরিক্ত ফি আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিতা সফিনাজ বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, তাদের কাছ থেকে কলেজ অধ্যক্ষের পরামর্শক্রমে প্রতি বিষয়ে ৫০ টাকা করে নন-কলেজিয়েট ফি আদায় করেছি আমরা। এছাড়া আর কোনও বাড়তি অর্থ আদায় করছি না।’

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রতন কুমার সাহার ভাষ্য, ‘প্রতি বিষয়ে ২৫ টাকা করে নেওয়ার কথা বলেছি। এছাড়া বাড়তি টাকা আদায়ের কোনও সুযোগ নেই। বাড়তি টাকা আদায় করা হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/এএমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ