বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন আমাদের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওইদিনই সিদ্ধান্ত হবে- আমরা ভালো থাকবো কি না, সুখে শান্তিতে থাকবো কি না, আমাদের মা-বোন তাদের ইজ্জত নিয়ে সসম্মানে থাকতে পারবে কি না।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা যুবলীগ আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধানের শীষ মানেই দুর্নীতিতে সেরা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসীদের অভয়রাণ্য, লুটপাট। বিএনপি-জামায়াত মানেই সার চাওয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, বিদ্যুতের দাবিতে রাজপথে রক্ত ঝরানো। বিএনপি মানেই গণতন্ত্রকে হত্যা। আজ সেই চক্রের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন ড. কামাল হোসেনসহ কতিপয় দলছুট লোক।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ২১ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে সামিল হয়েছেন। দেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন।
তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত কাজী নাবিল আহমেদসহ যশোরের ৬ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
যশোর-৩ (সদর) সহ ৬টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মীসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতি আর সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন চাইলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আরেকবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে দেশি বিদেশি চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ দলছুট কতিপয় নেতা পাকিস্তান-আইএসআইয়ের সঙ্গে চক্রান্ত করে দেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে চাইছে।
তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজ অত্যন্ত সচেতন। তারা ওইসব দুরভিসন্ধি দৃঢ়হাতে প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি এক থাকি তাহলে কেউই যশোরের ছয়টি আসনে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা কাজলা যুবলীগের সেক্রেটারি, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন হবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। সেদিন ভোটযুদ্ধ হবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা বনাম দেশকে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের মধ্যে। বিএনপি জামায়াত চক্র কখনোই দেশকে সাধারণ মানুষের বসবাসের যোগ্য করতে চায় না। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় এখন জেলে।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে ৭৫’র খুনিদের বিচার হয়েছে, ২১ আগস্টের হামলার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে- সেকারণে ওই চক্র কখনোই চাইবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসুক।
তিনি বলেন, যশোর জেলা যুবলীগ নৌকার প্রশ্নে এক; কোনও দ্বন্দ্ব নেই। আমরা ছোটখাট সব দ্বিধা ভুলে নৌকার প্রার্থী জননেতা কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, দেশ আজ আজ দু’ভাগে বিভক্ত। একপাশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি অন্যদিকে স্বাধীনতার বিপক্ষে। তারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চায়। এই ১০ বছরে যশোরে যে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে, তা তাদের চোখে পড়ে না।
তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশাল এই কর্মীসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, সৈয়দ মেহেদি হাসান, আজহার হোসেন স্বপন প্রমুখ।