X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পিইসির উত্তরপত্র জালিয়াতির ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখনও

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
১১ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৩৫আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:১৬

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (ফাইল ছবি) পিইসি পরীক্ষার উত্তরপত্রে কাটাকাটি ও ঘষামাজার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার আলোচিত ঘটনায় অভিযুক্ত দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত দেড় মাসেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে দেশব্যাপী পিইসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও হয়ে গেছে। এসব দুর্নীতি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তখন ঘটনাটির তদন্ত করা হয়।

কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ঘষামাজার অপরাধে এবং তেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও কামালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী তথ্য গোপনের অপরাধে তদন্তে অভিযুক্ত হন। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে এরই মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালকের দফতরে জমা হয়েছে। কিন্তু গত প্রায় এক মাসেও তা আলোর মুখ দেখেনি। উপরন্তু, স্থানীয় একটি চক্র অভিযুক্ত ওইসব শিক্ষকদের বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে বলেও জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মো. ইউসুফ রেজা এ প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে কামারখন্দ উপজেলার দুই প্রধান শিক্ষক সরাসরি অভিযুক্ত হয়েছেন। সেখানে দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যক্ষভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমার ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় বাধ্য হয়ে রাজশাহী ডিডি অফিসে তা পাঠানো হয়েছে।’

বিষয়টি জানতে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আবুল কালামের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ও মেসেজ পাঠিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, কামারখন্দে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি’ বিষয়ে কাটাকাটি ও ঘষামাজার মাধ্যমে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ২৪টি উত্তরপত্র গত ৩০ নভেম্বর জব্দ করে কামারখন্দ উপজেলা পিইসি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি। কামালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী, কর্ণসূতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও তেঘরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ওইসব খাতা মূল্যায়ন, পরীক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন।  

 

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী