পার্বত্য জেলা রাঙামাটির দশ উপজেলায় সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পার্বত্য তিন জেলার সব উপজেলাতেই এ নির্বাচন হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে কারচুপির অভিযোগ এনে বাঘাইছড়ির জনসংহতি সমিতি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি কেন্দ্রে কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী।
রাঙামাটি সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে শহরের কিছু কিছু কেন্দ্র ভোটারের উপস্থিত ভালো হলেও অনেক কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কম। ভোটারের কোনও লাইন দেখা যায়নি। তবে অনেকেই বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে।
যোগেন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট দিতে আসা ভোটরা বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারছে। ভোট দিতে কোথাও কোনও বাধা দিচ্ছে না কেউ। যিনি আমাদের সবার মঙ্গলের জন্য কাজ করবেন তাকেই আমরা ভোট দেবো।
রাঙামাটি সদর, যোগেন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রিজাডিং অফিসার, মহিউদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।’
রাঙামাটি সদর কেন্দ্রের (এএসআই) আরিফিন হোসেন বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে, কোনও ভোটার ভোট প্রদানের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেননি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলেছে।’
প্রসঙ্গত, পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ১০ উপজেলায় একযোগে এই ভোট উৎসব চলছে। তবে লংগদু ও কাপ্তাই উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার দুই প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় এখন চেয়ারম্যান পদে লড়াই হচ্ছে বাকি আট উপজেলায়। এর মধ্যে জেলায় চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন, মাহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দশ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৯ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২০৩টি। এর মধ্যে ২১টি কেন্দ্র হেলি সটিং।
আরও পড়ুন:
‘পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে’