গাইবান্ধার পাঁচটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন চলছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ৩৫৬টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও বেশ ভালো।
আসমা নামে এক ভোটার বলেন, ‘সকালে কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে অনেক অনন্দ লাগছে। সার্বিক পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো থাকায় ভোট দিতে কোন সমস্যা হয়নি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত যেন এমন পরিবেশ থাকে।’
ভোট দিতে আসা মঞ্জু মাস্টার বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি। কেন্দ্রে ও আশপাশের পরিবেশ অনেক ভালো।’
সদর, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ী, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তিনটি পদে ৮১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১৯ জন চেয়ারম্যান, ৩৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২৬ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পাঁচ উপজেলায় ভোটার ১০ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সাদুল্যাপুরের কেএম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটগ্রহণ শুরু পর থেকেই নারী-পুরুষরা কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩২৩২ জন। সকাল ৯টার পর্যন্ত কেন্দ্রের ৮টি কক্ষে ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে সকাল ৯টার পর থেকে কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
এছাড়া সাদুল্যাপুর বহুমুখি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রেও ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
পাঁচ উপজেলার ৩৫৬ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৯টি ভোট কেন্দ্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৯৫টি ভোট কেন্দ্র কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলাবাহীনির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, সকাল ৮টা থেকে ৩৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। উৎসব মুখর পরিবেশে ও নিবিঘ্নে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে নারী ও পুরুষ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিকাল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন তিনি।
এদিকে, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রসহ পুরো নির্বাচনি এলাকায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনছার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। এছাড়া ভোটের মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকি ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
দ্বিতীয় দফায় জেলার ছয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় ৬ ভোট!