সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ধর্ষণ ও ছোরা দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সিলেটের চিকিৎসকরা। তারা অবিলম্বে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তরা এ দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা যতই বড় হোক কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সারোয়ারসহ তার সহযোগীরা সিলেট উইমেন্স হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। এজন্য তার শাস্তির প্রয়োজন। যদি সারোয়ারকে পুলিশ দ্রুত গ্রেফতারে ব্যর্থ হয় তাহলে আন্দোলন আরও তীব হবে। মানবন্ধনে সিলেটের অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাও অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগেরসহ সভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে ) রাতে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা নং-২২ দায়ের করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফেরদৌস হাসান। এর আগে গত শনিবার (১১ মে) ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং- ৬১৭ ) করেছিলেন ডা. ফেরদৌস হাসান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগায় একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দিলে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।