কুমিল্লার মুরাদনগরে যৌন উত্তেজক বলে কীটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে স্বামীকে হত্যা করেছে এক নববধূ। ওই নববধূর নাম একা রানী দাস। প্রেমিকের পরিকল্পনায় সে স্বামী অনিক লাল দাসকে হত্যা করে। মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অনিক লাল দাস (২৩) জেলার চান্দিনা উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মানিক লাল দাসের ছেলে। বুধবার নিহতের বাবা বাদী হয়ে নববধূ, তার পিতা ও পরকীয়া প্রেমিককে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারের পর ঘাতক নববধূ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের নরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে একা রানী দাস। ২৫ দিন আগে পার্শ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মানিক লাল দাসের ছেলে অনিক লাল দাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের টিটু দাস নামে একজনের সঙ্গে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল একা রানী দাসের।
টিটু দাস এবং একা রানী দাস মিলে অনিক লাল দাসকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে অভিনয় করে কৌশলে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের কথা বলে একা রানী তার স্বামীকে একটি কীটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। পরে অনিক মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট শুরু করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সংলগ্ন রায়পুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর আলম বলেন, ঘাতক একা রানী দাস এবং পরকীয়া প্রেমিক টিটু দাস মিলে পরিকল্পিতভাবে অনিক দাসকে কীটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করেছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় একা রানী দাস হত্যার পরিকল্পনা এবং ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। টিটু দাসকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।