X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে মিশর ও চীনের ৩৬৪ টন পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
০১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:২৯আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:৫৪

জাহাজের ভেতরে স্তূপ করে রাখা পেঁয়াজের বস্তা

দেশে পেঁয়াজের সংকট মেটাতে এবার মিশর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা।  সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তিনটি জাহাজে ১৪ কন্টেইনার ভর্তি পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরিমাণ ৩৬৪ মেট্রিক টন। একইদিনে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকেও এসেছে ৩৫২ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।  ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ার পরদিনই তিন দেশ থেকে এসব পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করলো।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিনটি প্রতিষ্ঠান ১৪ কন্টেইনার পেঁয়াজ এনেছেন। এমভি কালা পাগুরো, জাকার্তা ব্রিজ ও কোটা ওয়াজারে নামের তিনটি জাহাজে করে পেঁয়াজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে আসা হয়। ১৪টি কন্টেইনারে আনুমানিক ৩৬৪ টন পেঁয়াজ রয়েছে। কন্টেইনারগুলো ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে জেটিতে খালাস করা হয়েছে। শুল্কায়নের পর কাল পরশুর মধ্যে পেঁয়াজভর্তি কন্টেইনারগুলো বন্দর থেকে ছাড় করিয়ে নিতে পারবেন আমদানিকারকরা।’

জেনি এন্টারপ্রাইজ, এন এস ইন্টারন্যাশনাল ও হাফিজ করপোরেশন নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান তিনটির কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, এসব পেঁয়াজ ঢাকার ব্যবসায়ীরা আমদানি করেছেন।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চীন ও মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ হাতে পেতে এক মাস সময় লেগে যায়। সেই হিসেবে ২৫ থেকে ৩০দিন আগে এসব পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মিশর অথবা চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য দিতে পারেননি খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, মিশর এবং চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে কিনা এটি আমি নিশ্চিত নই। তবে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ আসছে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে আসছে। টেকনাফ হয়ে মিয়ানমার থেকে এসব পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে আনা হচ্ছে।’

একটি ট্রাকে ১৫ টনের মতো পেঁয়াজ পরিবহন করা যায়। সেই হিসেবে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে ১৫০ টনের মতো পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।

মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে এখনও বিক্রি হচ্ছে। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে ১০০ থেকে ১২০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ মজুত আছে। ভারতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

এদিকে টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আজ টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ছয়জন ব্যবসায়ীর আমদানি করা ৩৫২ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। এগুলো ট্রাকে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।

 

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা