ভারত ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে পদ্মায় তীব্র স্রোত অব্যাহত আছে। স্রোত ও ঢেউয়ের তোড়ে গত কয়েকদিন ধরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটের দুপাশে অপেক্ষমান শত শত গাড়ি রবিবার (৬ অক্টোবর) ১০টি ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে। এদিকে, ভাঙনের কবলে পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটের ১ ও ২ নম্বর ফেরি ঘাট। বিআইডব্লিইটিসি কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় পারাপারের জন্য যাত্রীদের শুধু ফেরির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এরপরও সবগুলো ফেরি চালোনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ঘাটের দু’পাশে যানবাহনের তীব্র লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত মালবাহী ট্রাক। দেখা যাচ্ছে যাত্রীবাহী পরিবহনের দীর্ঘ সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। বর্তমানে চালকেরা লঞ্চ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া কোনও মতে যাওয়া গেলেও স্রোতের বিপরীতে যেন ফিরে আসাই যাচ্ছে না। নিরাপত্তার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় গত শুক্রবার দুপুর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিবার ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আবদুল্লাহ জানান, স্রোতে ভাঙনের কবলে পড়েছে দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট। তাই এই ঘাট দুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি রয়েছে, এর মধ্যে ১০টি পারাপারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর জানান, ঘাটের উজানে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নে প্রচুর ভাঙন আছে। যদি দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ভেঙে যায়, তাহলে পানির ধারা সরাসরি ঘাটে এসে লাগার সম্ভাবনা আছে। তাই ওই দুই ইউনিয়নের ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।