গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুদক। সদ্য পদত্যাগকারী এ উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুদক। মঙ্গলবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়, ঢাকার পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত শুরু করেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ও বুধবার (২০ ডিসেম্বর) তিনি সাবেক উপাচার্যের মেয়াদকালে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।
সকাল ১০টায় দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের একটি করে ফরম দেন। সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও তথ্য থাকলে ওই ফরমে তা লিখিতভাবে জানাতে বলেন।
গত সোমবার পরিচালক ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত এক ই-মেইল বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. শাহজাহানকে জানানো হয়, ১০৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প রিভাইজ করে ২৫৬ কোটি হয়েছে। ওই প্রকল্পে কি কি কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে তার তালিকা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষা বর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাবলী, সাবেক উপাচার্য নাসির উদ্দিনের সময়কালে নিয়োগ ও আপগ্রেডেশান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী দিতে বলা হয়। এছাড়াও খুলনা শীপ ইয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডকে প্রদত্ত কার্যাদেশ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও কাগজ পত্রাদী এবং সিএসই বিভাগের শিক্ষক মো. আক্কাস আলীর ব্যক্তিগত নথির বিষয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সাবেক উপাচার্য নাসিরউদ্দিনের সময়কালে বিভিন্ন কাজ সরেজমিন পরিমাপ করে দেখার জন্য গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন।