X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:০৮আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:২১

ছবি: সংগৃহীত চিকিৎসকের অবহেলায় মায়ের গর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই শিশুর বাবা ইউসুফ আলম মাসুদ। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে তিনি মামলা দায়ের করেন। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু এবং দুষ্কর্মে সহযোগিতার অভিযোগে তিন জনকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক)/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজনকে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি একজন নিরপেক্ষ গাইনি বিশেষজ্ঞের মতামত নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
মামলার অপর অভিযুক্তরা হলেন- ডা. আফরোজা ফেরদৌস এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফির চিকিৎসক ডা. এইচ এম রাকিবুল হক। এদের মধ্যে আফরোজা ফেরদৌস চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং এইচ এম রাকিবুল হক সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড আল্ট্রাসাউন্ডে কর্মরত আছেন। তারা দুজনই ম্যাক্স হাসপাতালে রোগী দেখে থাকেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, ‘অভিযোগকারীর স্ত্রী শারমিন আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ২৪ এপ্রিল থেকে ডাক্তার আফরোজা ফেরদৌসের তত্ত্বাবধানে ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করে আসছেন। ১৩ অক্টোবর আল্ট্রাসনোগ্রাফি অনুযায়ী ডাক্তার ১৭ ডিসেম্বর ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপর গত ২৮ অক্টোবর নিয়মিত ভিজিটের অংশ হিসেবে তাকে আবারও দেখানো হয়।
১ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে পেটে ব্যথা শুরু হলে অভিযোগকারী তার স্ত্রীকে ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার আফরোজাকে তার স্ত্রীকে স্বশরীরে দেখে আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট দেখে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি পেটে ব্যথার জন্য অলজিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আবার একবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন।
তার পরামর্শে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এইচ এম রাকিবুল হকের কাছে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। পরদিন আল্ট্রাসনোগ্রাফি দেখানোর পর ডাক্তার আফরোজা ১৭ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পরদিন ৩ ডিসেম্বর অভিযোগকারীর স্ত্রী অসম্ভব পেটের ব্যথা শুরু হলে, ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে ইউসুফ আলম মাসুদ ম্যাক্স হাসপাতালে না নিয়ে ন নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তার সুমাইয়া রফিকের তত্ত্বাবধানে দুপুর পৌনে ২টার দিকে শারমিন আক্তার মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেন। মৃত কন্যা শিশুর গলায় বুকে ও পায়ের চামড়া ছেঁড়া ছিল। ওই সময় ডাক্তার সুমাইয়া রফিক জানিয়েছেন বাচ্চাটি একদিন আগে মারা গেছে। না হয় বাচ্চার অবস্থা এমন হওয়ার কথা নয়।’
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ডাক্তার আফরোজা অভিযোগকারীর স্ত্রীর পেটে ব্যথা অনুভব করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা না করে যথেষ্ট সময় না দিয়ে অবহেলা করায় তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে এইচ এম রাকিবুল হক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে তাড়াহুড়া করে অভিযোগকারীর স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার করণে গর্ভে থাকা শিশুর প্রকৃত চিত্র রিপোর্টে উঠে আসেনি। অভিযুক্ত এই দুইজনকে নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দিয়ে ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালক লিয়াকত আলী খান দুষ্কর্মে সহযোগিতার সুযোগ করে দিয়েছেন।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত