X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তির অভিযোগ

রংপুর প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৩আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৮

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তির অভিযোগ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউট ডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হয়রানিসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিশুদের মায়েদের দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর ওষুধ দেওয়ার নামে ধরিয়ে দেওয়া হয় কমদামি কিছু ট্যাবলেট। অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু রোগীদের জন্য মাত্র একজন এমবিবিএস চিকিৎসককে দিয়ে চলছে ৩ থেকে ৪শ রোগীর চিকিৎসা।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউড ডোরে বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো নানান অনিয়ম আর হয়রানির অভিযোগ। বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুর অঞ্চলে কোল্ড ডায়রিয়া নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্ট সর্দি জ্বর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

রংপুর নগরীর সিও বাজার থেকে আসা নাজমা বেগম জানান, তার দুই মাস বয়সী শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তিন দিন ধরে তার কোনও উন্নতি হচ্ছে না। এখানে এসেছেন দুই ঘণ্টা ধরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন এখনও ডাক্তারের দেখা মেলেনি।

একই কথা জানালেন তিস্তা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল থেকে ৭ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে আসা কমলা রানী। তিনি জানান, তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ডাক্তারের দেখা মিলেছে। তিনি দুই মিনিট সময় নিয়ে সমস্যা শোনার আগেই ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দিয়ে বললেন ওষুধ খাওয়ান ভালো হয়ে যাবে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে আসা মমতাজ বেগম জানান, তার চার মাস বয়সের মেয়ে চার দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু ডাক্তার ভালো মতো সমস্যার কথা না শুনেই ওষুধ লিখে দিলো। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নিতে বললো।

কুড়িগ্রাম থেকে আসা রানী বেগম বলেন, ‘তিন মাস বয়সী ছেলের জ্বর কমছে না। পাঁচ দিন ধরে এখানে আসার পর যা দেখছেন, বোধহয় ডাক্তার দেখাতে দুপুর হয়ে যাবে।  একজন ডাক্তারের পক্ষে এত শিশুর চিকিৎসাসেবা দেওয়া কি সম্ভব?’

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তির অভিযোগ খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, শিশু বিভাগের আউট ডোরে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন তিনি একজন মেডিক্যাল অফিসার। তার শিশু রোগ সম্পর্কে কোনও ডিগ্রি নেই। অথচ হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অনেক চিকিৎসক আছেন, তারা কেউই আউট ডোরে আসেন না, রোগীও দেখেন না।

এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে তার চেম্বারে গেলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে, তিনি কোনও কথা বলবেন না।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, অল্প কিছু দিন হলো এখানে এসেছেন। অনেক সমস্যা আছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করবেন।

 

/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত