X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুভাষ দত্ত: চলে যাওয়ার ৪ বছর

বিনোদন ডেস্ক
১৬ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১

সুভাষ দত্ত। ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০- ১৬ নভেম্বর ২০১২ কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত। একজন দক্ষ অভিনেতা, আঁকিয়েও বটে। বরেণ্য এই মানুষটির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর)। ২০১২ সালের এই দিনে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।

১৯৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম দিনাজপুরে। সেখানে ছিল তার মামার বাড়ি। যদিও বাবা-মায়ের বাড়ি ছিল বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। শৈশব-কৈশোর কেটেছে মামাবাড়ি দিনাজপুরে। তার ডাক নাম পটলা। ভালো নাম সুভাষ চন্দ্র দত্ত।
১৯৫৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ দেখে তিনি ছবি নির্মাণে দারুণভাবে আগ্রহী হন। চলতে থাকে প্রস্তুতি। এর মধ্যে এহতেশামের ‘এ দেশ তোমার আমার’ ছবিটিতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। যদিও সেটি কমেডিয়ানের চরিত্রে। এরপর কেটে যায় কয়েকটি বছর। ১৯৬২ সালের শেষ দিকে এসে হঠাৎ তার মনে হয় তিনি তো অভিনয় করতে আসেননি। শচীন ভৌমিকের একটি গল্পের চিত্রনাট্য সৈয়দ শামসুল হককে দেখালেন। তিনি বললেন সব ঠিক আছে। এরপর সত্য সাহার সঙ্গে তার কথা হলো। তিনিই চট্টগ্রামের একটি মেয়ের কথা বললেন। নায়িকা নির্বাচিত হলো। ছবিও শেষ। ১৯৬৪ সালের ২৩ এপ্রিল মুক্তি পেলো ‘সুতরাং’। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী আর চট্টগ্রামে চারটি প্রিন্ট দিলেন। ছবি সুপারহিট। হিট এ ছবির নায়িকা কবরীও।
সুভাষ দত্ত অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো ‘রাজধানীর বুকে’, ‘সূর্যস্নান’, ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘নতুন সুর’, ‘রূপবান’, ‘মিলন’, ‘নদী ও নারী’, ‘ভাইয়া’, ‘ফির মিলেঙ্গে হাম দোনো’, ‘ক্যায়সে কাহু’, ‘আখেরি স্টেশন’, ‘সোনার কাজল’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘সমাধান’ প্রভৃতি। তার নির্দেশিত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘সুতরাং’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আবির্ভাব’, ‘বলাকা মন’, ‘সবুজ সাথী’, ‘বসুন্ধরা’, ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘নাজমা’, ‘স্বামী-স্ত্রী’, ‘আবদার’, ‘আগমন’, ‘শর্ত’, ‘সহধর্মিণী’, ‘সোহাগ মিলন’, ‘পালাবদল’, ‘আলিঙ্গন’, ‘বিনিময়’, ‘আকাঙক্ষা’ এবং সর্বশেষ ছবি ‘ও আমার ছেলে’ প্রভৃতি।
সুভাষ দত্ত। ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০- ১৬ নভেম্বর ২০১২ চলচ্চিত্রে শিল্পী গড়ার কারিগর ছিলেন তিনি। তার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে কবরী, সুচন্দা, উজ্জল, শর্মিলী আহমেদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, আহমেদ শরীফ ও মন্দিরার।
সুভাষ দত্তের নির্দেশনায় প্রথম ছবি ছিল ‘সুতরাং’। এ ছবিরই নায়িকা ছিলেন কবরী। তিনি যখন প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তখন তার ছবিতে সুভাষ দত্তকে অভিনয় করতে বলেন। ছবির নাম ‘আয়না’। ছবিটি ২০০৬ সালে নির্মাণ হয়েছিল। এরপর কোনও ছবিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
১৯৭৭ সালে ‘বসুন্ধরা’ ছবিটির জন্য পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান সুভাষ দত্ত। এরপর ১৯৯৯ সালে একুশে পদকও অর্জন করেন তিনি। এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেন।
/এমএম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সিনেমা নির্মাণে দিতিকন্যা, নির্বাহী প্রযোজক বাঁধন
সিনেমা নির্মাণে দিতিকন্যা, নির্বাহী প্রযোজক বাঁধন
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
উঠলো অভিযোগ, তবু অন্তর্জালে ‘মা লো মা’ ঝড়!
উঠলো অভিযোগ, তবু অন্তর্জালে ‘মা লো মা’ ঝড়!
‘চুম্বন’ দৃশ্য প্রসঙ্গে বিস্ফোরক এমিলি ব্লান্ট!
‘চুম্বন’ দৃশ্য প্রসঙ্গে বিস্ফোরক এমিলি ব্লান্ট!
বিচ্ছেদ নয়, যে কারণে বিয়ের ছবি মুছলেন রণবীর
বিচ্ছেদ নয়, যে কারণে বিয়ের ছবি মুছলেন রণবীর