X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিজয় মুহূর্তে’ হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত!

বিনোদন রিপোর্ট
১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৩আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৩৯

সংবাদ সম্মেলনে সনজীদা খাতুন ও শাকিল। পাকিস্তান আমলের প্রতিকূল পরিবেশে বাঙালির মনে আত্মপরিচয়ে বাঁচবার বিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে ১৯৬৭ সালে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু করে ছায়ানট। যা আজ সার্বজনীন। তেমনই এক জাগরণ সঞ্চারণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিজয় দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক এ প্রতিষ্ঠানটি আয়োজন করে ‘সকলে মিলে দেশ-গান গাইবার, দেশ-কথা বলবার’ নামের অনুষ্ঠানের। যেখানে হাজারো কণ্ঠে গাওয়া হয়েছিল জাতীয় সংগীত ও মানব জাতীয় পতাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এবার তার দ্বিতীয় আয়োজন হবে। শনিবার সকালে এক সংবাদসম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টির বিস্তারিত জানান সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল।
পূর্বের মতোই বিজয় দিবসের দিন ৩টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। এবারও থাকছে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত আর মানব জাতীয় পতাকা তৈরির মতো আয়োজন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঘোষণার ক্ষণ ১৬ ডিসেম্বরের ৪টা ৩১ মিনিটে গাওয়া হবে জাতীয় সংগীত।
এ সময়টাতে দেশ-বিদেশে অংশ নেবেন নানাশ্রেণি পেশার মানুষ। তাই এটি লাখো মানুষে গাওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাঠে জাতীয় পতাকা ও সংগীতের জন্য ৫ হাজারের মতো শিক্ষর্থী অংশ নেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানট ছাড়াও এবার যুক্ত হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। থাকছে লালমাটিয়া মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আটি ভাওয়াল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইমপিরিয়াল কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, ই্ঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল ও কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ, হলিক্রস স্কুল ও কলেজসহ আরও ১৫টি বিদ্যালয় ও কলেজ।
যারা মাঠে জাতীয় পতাকার আদলে গোল বৃত্তে লাল ও চতুর্ভুজে সবুজ পোশাক পরে বসবেন। তৈরি করবেন জাতীয় পতাকা। আর পরিবেশনার মধ্যে থাকছে নতুন একটি বিজয়ের গান। এটি লিখেছেন কবির বকুল, সুর দিয়েছেন সুজেয় শ্যাম। থাকবে রণাঙ্গণে উদ্দীপনা জাগানো ৯টি সম্মেলক গান ও নৃত্য পরিবেশনা।

ছায়ানট জানায়, সকলে মিলে দেশের গান গাওয়া ও শোনা, আর কথা বলা ও শোনা এবং সেই সঙ্গে বাংলার নৃত্যশৈলী দেখার আয়োজন চলবে- ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের সময় পর্যন্ত। অর্থাৎ দুপুর ৩টা ৪০ থেকে বিকাল ৪টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত। দেশজুড়ে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে সমাপ্তি টানা হবে অনুষ্ঠানের।  চলছে মহড়া।

পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে দীপ্ত টেলিভিশন।

/এম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো