X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘ঢাকা অ্যাটাক’ আমার জীবনের গল্প: সানী সানোয়ার

সাদ্দিফ অভি
০৩ নভেম্বর ২০১৭, ২০:০৯আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০১৭, ০০:১৭

ঢাকা অ্যাটাক-এর পোস্টার ঢাকা অ্যাটাক। মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহে (৩ নভেম্বর) এসেও দেশজুড়ে হাউজফুল তকমা নিয়ে শাসন করছে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মন। শুধু দেশে নয় সফলতার প্রতিধ্বনি মিলছে বিদেশের প্রেক্ষাগৃহ থেকেও। স্বাভাবিক, সিনেমাটির গল্প, চিত্রনাট্য, নির্মাণশৈলী, বিষয় এবং সংশ্লিষ্টদের ‘ডাউন টু আর্থ’ মন্তব্য- জয় করে নিচ্ছে প্রায় সবস্তরের দর্শক-সমালোচকের মন। ফলে বছরের সবচেয়ে সফল এবং আলোচিত সিনেমার তালিকায় অলরেডি এক নম্বরে উঠে বসে আছে দীপঙ্কর দীপনের এই কাজটি। আর সেই সফলতার বিহাইন্ড দ্য সিন-এ বসে আছেন সাদামাটা একজন পুলিশ অফিসার। নাম সানী সানোয়ার। পেশায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার। যিনি নিজের জীবনের ছোট ছোট গল্পগুলোকে একটু আধটু এদিক সেদিক করে একটি সুতোয় গেঁথে দিয়েছেন দীপনের হাতে, চিত্রনাট্যের আদলে। বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন তার বুকে জমানো গল্পগুলো। দীপঙ্কর দীপন সেই কাগজে আঁকা চরিত্রগুলোতে প্রাণ দিয়েছেন ক্যামেরার ভাষায়। সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে এসব নিয়ে একান্ত আলাপে বসেছেন সানী সানোয়ার। পড়ে নেওয়া যাক তার সম্পাদিত অংশ-

বাংলা ট্রিবিউন: দীপঙ্কর দীপন এবং আপনার প্রথম সিনেমা এটি। একে অপরের প্রতি ভরসার জায়গাটা কোথায় ছিল? সিনেমা তো চাট্টিখানি কথা নয়...

সানী সানোয়ার: আমাদের ভরসার জায়গাটা এরকম ছিল, যে গল্পটা তরুণ প্রজন্ম চায় সেটা আমরাও চাই। কারণ যেই ধরনের চিত্রনাট্য নিয়ে আশেপাশের দেশে সিনেমা হচ্ছে সেই গল্প আমরা পাচ্ছিলাম না। এমন ভাবনা থেকে মনে হয়েছে এখানে একটা সুযোগ আছে আমাদের। আমরা সম্মত হলাম এই ধরনের অ্যাকশন-থ্রিলার ছবি বানানো যেতে পারে।

বাংলা ট্রিবিউন: গল্পটি লেখার প্রক্রিয়া কেমন ছিল?

সানী সানোয়ার: আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, একটা বিষয়ের ওপর গল্পটা সাজাতে হলে অভিজ্ঞ এবং এই ক্ষেত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন একটা ব্যক্তির গল্প লাগবে। সেটা যে কোনও কিছুর ওপর হোক না কেন। সেক্ষেত্রে আমি দেখলাম তরুণরা কিংবা আমি নিজেও অ্যাকশন-থ্রিলার মুভি পছন্দ করি। যদি থ্রিলার বা অ্যাকশন কাহিনি লিখতে যাই তাহলে আমার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা এবং ঘটনাগুলোকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে দিতে পারলে হয় তো ভালো কিছু হবে।

সানী সানোয়ার/ ছবি: অভি বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু আপনি পেশায় একজন পুলিশ অফিসার। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগে আপনার বিস্তর কর্মঅভিজ্ঞতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই এমন অনেক অ্যাকশন-থ্রিলার গল্পের মুখোমুখি হতে হয়। যা আপনার কাছে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়! সেটিকে আবার পর্দায় তুলে আনার আগ্রহ তৈরি হওয়ার কথা নয়।

সানী সানোয়ার: একমত। আমিও তাই মনে করতাম। কারণ, এমন আরও অনেক ভয়ঙ্কর এবং বাস্তব গল্প রয়েছে আমার জীবনে- যা স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে করি। তবে সেসব ঘটনা যখন আমি অন্য পেশার বন্ধু কিংবা স্বজনদের সঙ্গে আড্ডায় শেয়ার করতাম বা এখনও করি, তখন সেই সাদামাটা গল্পগুলো আমার কাছে অসাধারণ হয়ে ধরা দেয়। মূলত সেখান থেকেই ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এর চিত্রনাট্য তৈরির উৎসাহ পাই।

বাংলা ট্রিবিউন: সেটা কেমন? একটু ডিটেইল জানতে চাই।  
সানী সানোয়ার:
ধরুন আড্ডার ছলে তথ্য গোপন রেখে একটা গোয়েন্দা অপারেশনের গল্প বললাম বন্ধুদের, খেয়াল করতাম সেসব হা করে শুনতো। তারা রোমাঞ্চকর একটি অবস্থানে চলে যেতো। গল্পটি বলার আগে আমার কাছে মনে হতো- এই অপারেশনের গল্পগুলোর কোনও গুরুত্ব আছে। অথচ বন্ধুরা যখন অবাক হয়ে শুনতো তখন মনে হলো এই গল্প নিয়েই কাজ করা যায়। বন্ধুরা আমাকে আরও বলতো এই ধরনের গল্প নিয়ে কোনও নাটক কিংবা সিনেমা হয় না কেন? সেই বিবেচনায় মনে হলো আমাদের জীবনের গল্পগুলোকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে যদি লেখা যায় তাহলে ভালো সিনেমা বানানো সম্ভব।

বাংলা ট্রিবিউন: পুলিশের চাকরির পাশাপাশি গল্প লেখার সময় কিভাবে করলেন?

সানী সানোয়ার: আসলে লিখতে বেশি সময় লাগে না, সময়টা লাগে চিন্তা করতে। গল্পের কাঠামো কী হবে, শুরু এবং ধারাবাহিকতা কেমন হবে- এটা ভাবতে প্রচুর সময়ের দরকার পড়ে। অফিসের ব্যস্ততার ফাঁকে, ট্র্যাফিক জ্যামে বসে কিংবা বাসায় গিয়ে সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আবার জেগে উঠে রাতে ২-১ ঘণ্টা কাজ করা বা ছুটির দিনে পুরোটা সময় বাসায় বসে বসে লেখার কাজটি শেষ করেছি। তাও প্রায় এক বছর সময় লেগেছে।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার ব্যক্তিগত জীবন এবং অভিজ্ঞতার বড় একটা অংশ নিশ্চয়ই আছে এই সিনেমায়।

সানী সানোয়ার: নিজের পর্যবেক্ষণ কিংবা অভিজ্ঞতা নিয়ে মানুষ যখন কিছু লিখতে যায় তখন নিজের চোখে যা দেখেছে সেগুলোই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। যেহেতু গল্পকার আমি, আমার জীবনে যা হয়েছে, অভিযানে যা পেয়েছি বা এধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে আমি কী করবো বা কী হতে পারে সে বিষয়গুলো মূলত গল্পে চলে এসেছে।

সানী সানোয়ার/ ছবি: অভি

বাংলা ট্রিবিউন: তা তো বটেই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ বলা যায়?

সানী সানোয়ার: এটা আসলে আমার জীবনেরই গল্প। ক্যারিয়ারের শুরুতে বিসিএস দিয়ে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এসি হিসেবে জয়েন করলাম। তখন আমার টিম নিয়ে যেভাবে মুভ করতাম বা কাজ করতাম, ভেতরে যে দেশপ্রেম আর আবেগ ঠিক একই জিনিস আমি ‘আবিদ’ চরিত্রটির মধ্যে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সোজা কথায়, বাস্তবের সানী আর পর্দার আবিদ- একই মানুষ। সিনেমার আবিদ আমারই বাস্তব প্রতিচ্ছবি বলা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ইনচার্জ ছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করতে হতো আমাদের। আমি যখন পদোন্নতি পেয়ে এডিসি হলাম তখন অনেকগুলা ইউনিটের মধ্যে একটা ছিল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আর অন্যান্য টিমগুলা অপরাধ তদন্ত করতো।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যেতো কোনও একটা কেস-এ আমার কয়েকটা টিম একসঙ্গে কাজ করছে। সেক্ষেত্রে দুই তিনটা টিমের মধ্যে সমন্বয় করা, তাদের অপারেশন রেডি করা, আসামী গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদ এবং সিনিয়রদের রিপোর্ট করা- এ কাজগুলো আমি করে আসছি। তাই এই ‘এসি আবিদ’ যখন বড় হলো, কয়েকটা টিমের ইনচার্জ হলো তখন সে হয়ে গেল ‘এডিসি সাজেদুল’। ফলে এই ছবির এসি আবিদ এবং এডিসি সাজেদুল- দুজনই আমার প্রতিরূপ।

বাংলা ট্রিবিউন: তাহলে এসি আশফাক? সেই চরিত্রে আপনি নেই!

সানী সানোয়ার: সেখানেই যাচ্ছি। ‘এসি আশফাক’ চরিত্রটিতেও আমি আমাকে রেখেছি। কারণ, আগেই বলেছি- আমি আমার জীবনের কাছ থেকেই এই চিত্রনাট্যটি ধার করেছি। ফলে এসি আশফাকের মাধ্যমে দেখাতে চেষ্টা করেছি আমি যখন গোয়েন্দা বিভাগে এসি হিসেবে ছিলাম তখনকার বাস্তবতা। মনে পড়ে, তখন নানা কাজে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হতো। একই সময়ে কিছু পারিবারিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। আমি একবার ফরিদপুর গিয়েছিলাম অভিযানে, তখন আমার বাসার নিচতলায় আগুন লাগে। আমার স্ত্রী ছিল ছোট বাচ্চাসহ বাসায়। তখন আমি অভিযানের মাঝখানে থেকেও দুই দিক সামাল দেই। এরকম পরিস্থিতিতেও আমি অভিযান বন্ধ রাখিনি। আবার আমার ছোট বাবুটা হওয়ার সময় তাদের পাশে থাকতে পারিনি, কয়েকটা কেস নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অভিযানেও যেতে হয়েছে।

আমার স্ত্রীর অনুরোধ ছিল তার পাশে থাকার, কারণ সে কয়েকদিন ধরে নাকি খারাপ স্বপ্ন দেখছিল। তো সে বলেছিল ছুটি নিয়ে তার পাশে থাকতে কিন্তু আমি যখন ছুটির আবেদন করতে গেলাম তখন আমাকে বললো ছুটির আবেদনের দরকার নাই যখন যাওয়া লাগে যেতে। হঠাৎ  হসপিটালে ভর্তির সময় আমার এসাইনমেন্ট পড়ে গেলো। যদিও আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি কিন্তু একটা অভিযানের মিটিংয়ে ছিলাম। সেখানে তিন নম্বর সারিতে বসা আমি, আমার কাছে ফোন আসতে থাকলো হসপিটাল থেকে। মাথা নিচু করে কথা বলছিলাম ডাক্তারের সঙ্গে আর কাঁদছিলাম। এই যে বিষয়টা আশফাক চরিত্রের মাধ্যমে তুলে আনতে চেষ্টা করেছি। নওশাবার চরিত্রের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর চাপা কষ্ট, ক্ষোভ- এগুলো দেখানোর চেষ্টা করেছি।

শুটিংয়ে নামার আগে চিত্রনাট্য নিয়ে দুই বন্ধুর হোমওয়ার্ক- সানী ও দীপন/ ছবি: সংগৃহীত

বাংলা ট্রিবিউন: আরিফিন শুভ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, আফজাল হোসেনসহ পুলিশ ও সোয়াট টিমের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, অ্যাকশন, ডায়লগ বলার ধরন, পোশাক- সবকিছুই প্রায় শতভাগ বাস্তব মনে হয়েছে। এখানে পরিচালকের পাশাপাশি আপনার নিশ্চয়ই দৃষ্টি ছিল। 

সানী সানোয়ার: আসলে পৃথিবীর সব সফলতাই টিমওয়ার্কের প্রতিচ্ছবি মাত্র। যুদ্ধ, খেলা, সংসার- সবখানেই। আমরা শুরু থেকে সেই কাজটিই করার চেষ্টা করেছি। আর আমার তো চাকরির সুবাদে টিমওয়ার্কের বিস্তর অভিজ্ঞতা ররয়েছেই। যাইহোক, আমরা ছবিটির প্রি-প্রোডাকশনে অনেক সময় নিয়েছি। ২০১৩ থেকে প্ল্যানিং শুরু করে শুটিং শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারির দিকে। এসময়ে আমাদের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন তৈরি হলো- আমরা আসলে কী দেখাতে চাই। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের যেই মনোগ্রাম সেইটা কিন্তু শুধুমাত্র সিনেমার জন্য তৈরি করা হয়। আমি নিজে তৈরি করেছি। পরবর্তীতে তা অফিসিয়ালি ইউনিটের জন্য চলে আসে। আরেকটা বিষয় ছিল সিনেমাতে কালারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেখতে সুন্দর লাগবে এমন একটা ড্রেস দরকার ছিল।

আমি এফবিআই একাডেমিতে ট্রেনিংয়ের সময় নিউইয়র্ক থেকে একটা টিশার্ট কিনেছিলাম। সেটা ঢাকায় নিয়ে এসে একটা পোশাক প্রস্ততকারি প্রতিষ্ঠানকে দেই। তারা সেটার সুতা এনালাইসিস করে নতুন সুতা বানায় এবং সেই সুতা কালার করে টি-শার্ট বানিয়ে দেয়। সিনেমার জন্য বানানো এই টি-শার্ট পরবর্তীতে মূল ইউনিটের ইউনিফর্ম হয়। এভাবে সবকিছুই আমার ডিজাইনে করা যাতে লুকটা সুন্দর হয়। একই কাজ সোয়াতের ইউনিফর্মের ক্ষেত্রেও করেছি। আমরা সবাই মিলে বসে ঠিক করি কিভাবে ডিজাইন করলে দেখতে সুন্দর লাগে। এর মধ্যে নতুন একটা ইউনিটের কনসেপ্ট ঢুকিয়েছি সেটা হলো ‘হাই রিস্ক অপারেশন’ (HRO)। বাস্তবে আমাদের এরকম ইউনিট নেই কিন্তু হাই রিস্ক অপারেশনে আমরা প্রতিনিয়ত যাচ্ছি। এরকম একটা নাম বা লুক দিলে দেখতে ভালো লাগে। এই ইউনিটের ড্রেসটার কালার কম্বিনেশনটাও চমৎকার ছিল চোখে লাগার মতো।

আমার জীবনে কোনও কাজ পারফেক্ট না হলে সেটা করি না। আরেকটা ব্যাপার, সিনেমার বেশিরভাগ অংশেই যেহেতু পুলিশের উপস্থিতি এখানে তার চলাফেরা, অস্ত্র ধরা, স্যালুট কিভাবে দিতে হয়, সিনিয়রদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয়, শব্দচয়ন, একজন পুলিশ অফিসারের রুম ডেকোরেশন- সবকিছু সঠিক ভাবে করার চেষ্টা করেছি। প্রথমত আমি এসব জানি এবং দর্শকদের আসল পরিবেশটাই দেখাতে চেয়েছি। আমি চলচ্চিত্রের নামে নাটকীয় কিছু করার চেষ্টা করিনি।

শুভর সঙ্গে চিত্রনাট্য শেয়ার করছেন সানী/ ছবি: সংগৃহীত

বাংলা ট্রিবিউন: দেশে তো বটেই বিদেশেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন, কেমন লাগছে?

সানী সানোয়ার: বিদেশের মাটিতে মূলত ব্যাপক সাড়া শুরু আমেরিকা থেকে। বলতে গেলে একটা ব্লাস্ট হয় সেখানে। সাধারণত বাংলা সিনেমা কখনই বড় হলে প্রদর্শিত হয় না, প্রথমদিনে ছোট হলে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর যখন বড় হলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটার পরিবর্তে দুইটি শো প্রদর্শিত হয় সেটা অনেক বড় পাওয়া বলা যেতে পারে আমাদের জন্য। এছাড়া কানাডায়ও আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি, এদিকে সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ায় তারা তারিখ ঘোষণা করেছে এবং প্রথম দিনের অগ্রিম টিকেট শেষ। ২৭ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হয়েছে, ৭ নভেম্বর থেকে ইউরোপে। আর আমাদের ‘ঢাকা অ্যাটাকে’র ছোট্ট একটি টিম ওয়ার্ল্ডট্যুরে বের হবে খুব তাড়াতাড়ি। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপে ঘুরে আসবে যেখানে যেখানে ছবিটির প্রদর্শনী হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: ‘ঢাকা অ্যাটাকে’র সিক্যুয়াল আসবে শুনতে পাচ্ছি বিভিন্ন মাধ্যমে, এ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন।

সানী সানোয়ার: সিক্যুয়াল বানানোর সবদিক দিয়ে প্রস্তুতি মোটামুটি আমাদের নেওয়া আছে। টার্গেট ২০১৯ সাল। এ ক্ষেত্রে সিনেমার সাপোর্টের যে বিষয়টা আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা বাংলাদেশ পুলিশ থেকে পাই, সেই অনুমতির ব্যাপার আছে। আবেদন করেছি তবে এখনও পাইনি। শিগগিরই পাবো, আমরা আশাবাদী। কারণ আমাদের আইজি স্যার, কমিশনার স্যার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা  খুবই খুশি ছবিটি দেখে।

বাংলা ট্রিবিউন: টিম ‘ঢাকা অ্যাটাক’কে শুভেচ্ছা। আপনাদের নতুন সিক্যুয়ালের অপেক্ষায় থাকলাম। প্রথম কাজেই শীর্ষ সফলতা পাওয়া প্রসঙ্গে কিছু বলবেন?

সানী সানোয়ার: আপনাকেও ধন্যবাদ। বাংলা ট্রিবিউন পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সফলতা প্রসঙ্গে এটুকুই বলবো, এটা সম্ভব হয়েছে টিমওয়ার্কের কারণে। নির্মাতা-অভিনয়শিল্পী-টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে আমরা প্রত্যেকে যে যার অবস্থানে থেকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যা সামনেও অব্যাহত রাখবো।

সানী সানোয়ার/ ছবি: অভি

/এসও/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব শুরু আজ থেকে
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব শুরু আজ থেকে
‘প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময় হয়ে যাবে’
‘প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময় হয়ে যাবে’
সিনেমা নির্মাণে দিতিকন্যা, নির্বাহী প্রযোজক বাঁধন
সিনেমা নির্মাণে দিতিকন্যা, নির্বাহী প্রযোজক বাঁধন
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
উঠলো অভিযোগ, তবু অন্তর্জালে ‘মা লো মা’ ঝড়!
উঠলো অভিযোগ, তবু অন্তর্জালে ‘মা লো মা’ ঝড়!