X
শনিবার, ১১ মে ২০২৪
২৮ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনীতিতে অভিনয় করি না: বিশেষ সাক্ষাৎকারে রূপা গাঙ্গুলি

এমরান হোসাইন শেখ
০৮ নভেম্বর ২০১৭, ০২:৩৭আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:২৬

রূপা গাঙ্গুলি

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলি এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। এখন ভারতের রাজ্যসভার সদস্য তিনি। অভিনয় জীবনে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে আসা এই তারকা রাজনীতিকে দেখেন সমাজকর্মের প্রসার হিসেবে।

ভারতীয় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে ডেলিগেট হয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোশিয়েশনের ৬৩তম সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন রূপা। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিজের চলচ্চিত্র ও রাজনীতি জীবনের কিছু কথা তুলে ধরেন ৫০ বছর বয়সী এই শিল্পী।

মঙ্গলবার সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনের একফাঁকে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলেন রূপা। তিনি জানান, রাজনীতিতে আসার কারণে অভিনয় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেক দর্শকপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করলেও নিজের কাজ নিয়ে কখনও তৃপ্ত হতে পারেননি বলেও সাক্ষাৎকারে জানান তিনি।

বাংলা ট্রিবিউন: অভিনয় আর রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে কি কোনও পার্থক্য দেখেন?

রূপা গাঙ্গুলি: ছবির চরিত্রটি লেখা হয় গল্প আর সময়ের প্রয়োজনে। বড় পর্দার চরিত্র একেক সময় একেক রকম হয়। এগুলো কখনও জীবন থেকে নেওয়া। আবার কখনও গল্প বা কাহিনি থেকে তুলে আনা। কখনও আমার সঙ্গে চরিত্রগুলোর মিল পেতাম, আবার কখনও পেতাম না। সেটা যে কেবল অভিনয় ছিল তা নয়, অভিনয়ের সঙ্গে চরিত্রটাকে মন থেকে সেই মুহূর্তের জন্য বিশ্বাস করা। বিশ্বাসটা ধরে রাখার জন্য কখনও একইসঙ্গে একাধিক চরিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতাম না। আজ একটা চরিত্র তো কাল আবার নতুন চরিত্র, এভাবে কখনও কাজ করতে পারতাম না। সময় নিয়ে করতাম।

আর রাজনীতির বিষয়ে বলবো— ছোটবেলা থেকেই আমার আয়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্যয় করেছি সমাজসেবায়। এজন্য সামাজিক কাজের বিষয়টি সবসময় আমার মাথায় ছিল। আমি রাজনীতিকে সেই সমাজকর্মের প্রসার হিসেবে দেখি। সেজন্যই আমার রাজনীতিতে আসা।

বাংলা ট্রিবিউন: রাজনীতিকে কি সত্যিই সমাজকর্ম হিসেবে দেখা হয়?

রূপা: এটা সত্যি যে, মোটাদাগে রাজনীতিকে সমাজকর্মের প্রসার নয়, বরং ‘পাওয়ার গেম’ হিসেবেই দেখা হয়। তবে এই ‘পাওয়ার গেম’ শব্দটার ব্যবহার কিভাবে হয় তা দেখার বিষয়। ‘পাওয়ার গেম’কে ভালো দিকে নাকি খারাপ দিকে পরিচালনা করবেন, তা নির্ভর করে নিজের ওপর। কোনও রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে না ব্যাপারটা। এক্ষেত্রে বেড়ে ওঠা কিংবা পেশার ওপরও নির্ভর করে।

বাংলা ট্রিবিউন: চলচ্চিত্রের পাণ্ডিুলিপি আর চরিত্র তৈরি থাকে, মেধা ও প্রজ্ঞা সবকিছু কাজে লাগিয়ে তা প্রাণবন্ত করে তোলেন আপনারা অভিনয়শিল্পীরা। রাজনীতিতে এসে দেখলেন আপনার বা আপনার দলের অবস্থানের কারণে যা সত্যি তা জনগণের কাছে বলতে পারছেন না। ওই ক্ষেত্রে অভিনয় করার প্রশ্ন আসে কিনা।

রূপা: আমার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশ্ন আসে না। আমি যা বিশ্বাস করি তাই বলি। মতের মিল না হলে মানুষের সঙ্গে লড়ে যাই। এক্ষেত্রে আমার কোনও সমস্যা হয় না। আমি কোনও পদের জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। রাজনীতিকে সমাজসেবা ভেবেই এসেছি। রাজনীতিতে এসেছি প্রায় তিন বছর হতে চললো। এর মধ্যে কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। কোথাও অভিনয় করতে হয়নি। চলচ্চিত্র জগতের ক্ষেত্রেও তাই।

যেমন ‘পদ্মা নদীর মাঝি’তে অভিনয় করেছি কপিলা চরিত্রে। আমি কি সত্যিকারের কপিলা ছিলাম? না। আমি কি সত্যিই মাছ ধরেছি? কখনও না। জেলেনি ছিলাম? না। তখন তার (কপিলার) অবস্থার মতো করে বুঝতে চেয়েছি বলে অভিনয় করতে পেরেছি। আবার যখন ‘নয়ন চাঁপার দিনরাত্রি’তে কাজ করেছি, সত্যিই কি ভোর চারটায় ক্যানিং থেকে রাস্তায় বেরিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যেতাম? না। ওই চরিত্রের অবস্থানে থেকে বিষয়টা বুঝতে পেরেছি।

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর দেখেছি, আমার দলেও ৫০ রকমের লোক আছে। সবার সঙ্গে আমার একমত হওয়ার তো দরকার নেই। সবার সঙ্গে একমত তো কখনও হওয়াও যায় না। সবাইকে খুশি করা যায় না। সেই চেষ্টা করাও বৃথা। এজন্য কিন্তু রাজনীতিতে আসিনি। আমার নেতৃত্বকে দেখছি। আমার মোদিজিকে পছন্দ। অমিত শাহকে পছন্দ।

বাংলা ট্রিবিউন: বলা হয়ে থাকে, রাজনীতিবিদরাই সবচেয়ে বড় অভিনয়শিল্পী! জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করেন তারা। আপনি এখন কাছ থেকে রাজনীতিটাকে দেখছেন। চলচ্চিত্রে আপনার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আছে। রাজনীতিতে এসে ওই দৃষ্টিভঙ্গিটাকে কিভাবে দেখছেন?

রূপা: আমি কিন্তু রাজনীতিকে অভিনয় হিসেবে দেখি না। দৃষ্টিভঙ্গিটা এমন হয়ে গেছে যে, রাজনীতিবিদ হলে আবেগপ্রবণ হতে কিংবা তাদের চোখে জল আসতে পারবে না। সত্যি কথা সত্যি করে বলা যাবে না। এই নিয়মটা যুগ যুগ ধরে চলবে, এর মানে হয় না। এমনকি কোনও নিয়ম বা সংবিধানে কি লেখা আছে রাজনীতিবিদকে এমন হতে হবে? আমরা সাধারণভাবে রাজনীতিবিদদের এরকম দেখেই একটা ভেবে নিয়েছি। দুই-তিন বছর আগেও ভারতে এই দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। আমি মনে করি, এটা আর থাকবে না। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদরা আসছে, যারা সত্যিই সমাজটাকে নতুনভাবে তৈরি করতে চায়। রাজনৈতিক পরিবর্তন আসছে, সুতরাং সমাজেও পরিবর্তন আসবে। আর সামাজিক পরিবর্তন এলেই সার্বিক পরিবর্তন আসবে।

বাংলা ট্রিবিউন: রাজনীতিবিদরা চাইলেই কি সমাজ পরিবর্তন হয়ে যায়?

রূপা: আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোজ বলছেন স্বচ্ছ ভারত চাই। কিন্তু আপনি, আমি বা বাকি সবাই না বললে কি তা হবে? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বারবার বলবেন স্বচ্ছ ভারত চাই আর আমার কিংবা আপনার বাড়ির পাশের নর্দমায় ময়লা থাকবে। তাহলে স্বচ্ছ ভারত হবে কিভাবে। যে লোকটা ডাম্পিং ইয়ার্ডে ময়লা ফেলছেন তিনি হয়তো স্বচ্ছ ভারত বিশ্বাস করেন না। আবার যিনি রাস্তায় ময়লা ফেলতে ফেলতে যাচ্ছেন তিনি স্বচ্ছ ভারত বলে চিৎকার করছেন। এরকম হলে কি স্বচ্ছ ভারত হবে? একটা দেশ বদলাতে হলে আগে সামাজিক ও মানসিক পরিবর্তন দরকার।

রাজনীতিতে বিরোধীদের যে গুণ আছে তা অস্বীকার করা ঠিক নয়। কেবল বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়, বিরোধীকে সবসময় সম্মান দিয়ে বিরুদ্ধে যাওয়া দরকার। আর ক্ষমতাসীন দলেরও বিরোধীদের কথাটা মেনে সেটাকে কিভাবে সংশোধন করা যায় তা ভাবা দরকার। দেখা গেলো একটা জায়গায় রাস্তা ভাঙা আছে। ক্ষমতাসীন দল বলবে, ‘হ্যাঁ আমাদের কিছুটা রাস্তা এখনও মেরামত করা বাকি।’ আর বিরোধীরা বলবে, ‘হ্যাঁ দেখুন এইটুকু হয়েছে বটে, বাকিটা কিছুই হয়নি।’ দুটোর কোনোটাই কিন্তু পুরো সত্যি কিংবা পুরো মিথ্যা নয়। দু’জনের কেউই কিন্তু পুরো অভিনয় করছে না। হাফ গ্লাস জল ফাঁকা দেখবো না ভর্তি দেখবো সেইরকম ব্যাপার অনেকটা। এটা দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার মূল পেশা অভিনয়ের কথা শুনি এবার।

রূপা: যেদিন ঠিক করেছি রাজনীতিতে আসবো তার ছয় মাস আগে থেকেই অভিনয় বন্ধের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার হাতে আগে থেকে নেওয়া চারটা ছবি ছিল, সেগুলো শেষ করেছি। আমার তিন মাসের শুটিং বাকি ছিল। সেগুলো মাঝে মধ্যে করেছি। তারপর আর কোনও শুটিং করিনি। কোনও স্ক্রিপ্টও শুনিনি। অভিনয় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছি। ওই অধ্যায় শাটডাউন করে দিয়েছি। প্রযোজকের সঙ্গে যোগাযোগই রাখি না। কোনও প্রযোজক বা পরিচালক  ফোন করলে তার সঙ্গে নমস্কার আর ধন্যবাদ দিয়ে কাজ করি না বলেই ফোন রেখে দিই। এখন পর্যন্ত এভাবে ১২টার মতো প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি।

রাজনীতিতে ঢোকার পর কারও কাছ থেকে গল্প শুনিনি। কারণ শুনলে মনে হতে পারে চরিত্রটা দারুণ। তখন তা আমাকে আকর্ষণ করতে পারে। ৩০ বছর ধরে যে কাজটা করছি তার প্রতি আকর্ষণ তো একটু থাকবেই। আমার ভালোবাসাও জড়িয়ে আছে অভিনয়ে। কারণ বড় পর্দাই আমাকে অর্থ, যশ ও সম্মান দিয়েছে। সুতরাং এই জায়গাটা ছাড়া সোজা কথা নয়। আমি মানুষ, আর মানুষকে তো জীবনে বাঁচতে হয়। খেতে হয়। সেইসব অধ্যায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সময় তো একটু লাগে।

বাংলা ট্রিবিউন: ভবিষ্যতে অভিনয়ে ফিরবেন?

রূপা: ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা ভাবি না। আমার ভাবনা হচ্ছে— আজকের দিনটা গতকালের চেয়ে ভালো হলো কিনা। নিজেকে প্রশ্ন করি, কাল যা করেছি আজ কি তার চেয়ে ভালো হয়েছে? বেশিদূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিই না। সামনের এক-দুই বছরের বেশি ভবিষ্যৎ দেখি না। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আনন্দ না হয় দুঃখ হবে। হতাশা আসবে না হয় মাথা চড়ে যাবে। কোনও একটা হবে। এজন্য কোনোটারই দরকার নেই আমার!

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার অভিনয় জীবনের সেরা চরিত্র কোনটি? যে চরিত্রে কাজ করে তৃপ্তি পেয়েছেন বেশি।

রূপা: কঠিন প্রশ্ন। নিজের সম্পর্কে আমি একটু বেশি খুঁতখুঁতে। ৩০ বছর ধরে অভিনয় করছি। এই সময়ে এসে নিজের কোনও পুরনো ছবি দেখে আমার নিজেকে তৃপ্ত মনে হয় না। কারণ কোনও ছবিতে কাজ করার চার-পাঁচ বছর পর দেখলে মনে হয়, এরকম না হয়ে ওইরকম হলে আরও ভালো হতো। এখন এসে বুঝতে পারি, তখন এটা বোঝার মতো বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু আজ ওই কাজ করার মতো আমার সময় বা বয়স নেই। ফলে তৃপ্ত হওয়ার মতো  কোনও ছবির কথা বলতে পারবো না।

তবে কয়েকটা ছবির কথা বলি যেগুলোতে কাজ করে আমার নিজের কাছে ভালো লেগেছে। যেমন ‘অবশেষে’। এটাকে নিজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। ‘অবশেষে’র জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলাম বলে নয়, ছবিটির মাধ্যমে বিদেশে থাকা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আলাদা একটা আন্তরিকতা তৈরি হয়েছিল।

‘অন্তরমহল’ ছবিটি নিজের কাছে খুব কঠিন ও ভালো মনে হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে ঋতুর (ঋতুপর্ণ ঘোষ) সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। গল্পে বড় বউয়ের অসহনীয় বেদনা ফুটিয়ে তুলেছিলাম।

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ আমার সারাজীবনের প্রিয়। কারণ এটি দুই বাংলার ছবি। এতে কাজ করার সময় এক বছর বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেছি। ওইটা আমার জন্য সুখকর ছিল। হাবিব (হাবিবুর রহমান খান) ভাই ছিলেন প্রযোজক। তিনি আমাকে বাংলাদেশ ঘুরে দেখিয়েছেন। এটা আমার একটা বড় পাওয়া।

বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশেই আপনার পিতৃভিটা। এখানকার স্মৃতি মনে পড়ে না?

রূপা: বাংলাদেশে আমার মা-বাবার জন্ম। নারায়ণগঞ্জে নদীর পাড়ে বাড়ি ছিল আমাদের। বাড়িটার কথা মনে আছে, কিন্তু জায়গাটা মনে নেই। ছোটবেলায় এসেছিলাম অনেকবার। বাবার মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তার বাংলাদেশে আসার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে যেতে হয়েছে। কারণ তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট বদলাননি। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশের পাসপোর্টেই মরবো। নারায়ণগঞ্জেই মরবো।’ এজন্য তার পাসপোর্ট নবায়ন করেই যেতে হয়েছে আমাকে। বাবা বাংলাদেশ ছেড়ে যেতেই চাননি। আমি জোর করে হাতেপায়ে ধরে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে অনেক চেষ্টা তদবির করে তাকে নিয়ে গেছি। তখন তিনি অসুস্থ। এজন্য বাবাকে কলকাতায় বাড়ি কিনে সেখানেই স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছি।

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট: এখন কি গান গাওয়া হয়?

রূপা: গান তো ভুলেই গেছি! আর গাই না। কাল (সোমবার) রাতে হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে (ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস) একটা গেয়েছিলাম। ব্যস।

 

 

/ইএইচএস/জেএইচ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
জমজমাট দ্বিতীয় দিন, পর্দা নামছে আজ
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবজমজমাট দ্বিতীয় দিন, পর্দা নামছে আজ
পাঁচ ‘বুবলী’ নিয়ে থানায় অপু!
পাঁচ ‘বুবলী’ নিয়ে থানায় অপু!
‘মালা’র জন্য ঢাকার মঞ্চে ‘আবার’ অঞ্জন
‘মালা’র জন্য ঢাকার মঞ্চে ‘আবার’ অঞ্জন
পদ্মর সঙ্গী প্রিয়ম, আনন্দে আটখানা পরী
পদ্মর সঙ্গী প্রিয়ম, আনন্দে আটখানা পরী
ছয় প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’
এ সপ্তাহের ছবিছয় প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’