জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ষাট ও সত্তর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানী সরকারকে ফুলেল শ্রদ্ধা চিরবিদায় জানালো তার সহকর্মীরা। আজ ৭ জুলাই দুপুরে বিএফডিসিতে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
জানাজার আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বিএফডিসি ও তথ্য মন্ত্রণালয় পৃথক পৃথকভাবে ফুল দিয়ে সম্মান জানায় রানী সরকারকে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, চিত্রনায়ক ফারুক, আলমগীর, রিয়াজ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান প্রমুখ। এছাড়াও রানীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন নায়ক শাকিব খান ও সিমলাসহ অনেকে।
দেশের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রানী সরকার শনিবার (৭ জুলাই দিবাগত রাত) ভোর ৪ টার দিকে রাজধানী একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান বলে জানা যায়। এছাড়াও পিত্তথলির পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এই অভিনেত্রী।
১৯৫৮ সালে রানী সরকারের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। প্রথম ছবি হলো এ জে কারদার পরিচালিত 'দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও'। ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র 'চান্দা'তে অভিনয় করেন।
‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’, ‘চান্দা’, ‘তালাশ’র মতো জনপ্রিয় উর্দু সিনেমায় কাজ করার পাশাপাশি রানী সরকার সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সিনেমাকে। ‘কাচের দেয়াল’, ‘বেহুলা’, ‘আনোয়ারা’, ‘চোখের জল’, ‘নাচের পুতুল’ তার অভিনীত জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা।
মোহাম্মাদপুরস্থ শেখেরটেক এলাকায় তার ভাইয়ের বউ ও ভাইয়ের দুই মেয়েসহ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন রানী সরকার। একই বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ২০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দেন।