বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষণ বা জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ককে গ্রহণযোগ্য মনে করেন ইউরোপের এক চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ। এক জরিপ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশন। ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা’ শিরোনামের ১০২ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন তৈরিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ৩০ হাজার মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। উত্তরদাতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, বিশেষ ক্ষেত্রে ধর্ষণ গ্রহণযোগ্য কিনা? এতে ২৭ শতাংশ মানুষ বিশেষ ক্ষেত্রে ধর্ষণকে গ্রহণযোগ্য বলে মত দিয়েছেন।
২২ শতাংশ উত্তরদাতা ধর্ষণের জন্য নারীদেরই দায়ী মনে করেন। তারা মনে করেন, নারীরা তাদের মেকআপ বা অতিশয়োক্তির মাধ্যমে ধর্ষককে এ কাজে প্ররোচিত করেন। দেশভেদে উত্তরদাতাদের এমন মানসিকতা মালটায় ৪৭ শতাংশ। পক্ষান্তরে সুইডেনে এটা ৮ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ১২ শতাংশ বলেছেন, ধর্ষণের শিকার নারী যদি মদ্যপ অবস্থায় থাকেন তাহলে তাকে ধর্ষণ করা গ্রহণযোগ্য। ১১ শতাংশ বলেছেন, যদি ধর্ষিতা স্বেচ্ছায় কারও সঙ্গে বাসায় যান এবং তিনি ধর্ষিত হন তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য।
১০ শতাংশ বলেছেন, ধর্ষিতা যদি ধর্ষণে ‘না’ না বলেন এবং ধর্ষণকারীকে শারীরিকভাবে বাধা না দেন তাহলে তাকে ধর্ষণ করা গ্রহণযোগ্য।
শতকরা এই হার অবশ্য ইউরোপের সব দেশে এক নয়। দেশভেদে এর পার্থক্য রয়েছে। তবে, সামগ্রিকভাবে ২৭ শতাংশ মানুষ বিশেষ ক্ষেত্রে ধর্ষণকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।
রোমানিয়ার ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এসব ক্ষেত্রে ধর্ষণ মেনে নেওয়া উচিত। বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডে এ হার যথাক্রমে ৪০ ও ১৫ শতাংশ।
তবে ব্রিটেনের ২২ শতাংশ মানুষ মনে করেন এটা ফৌজদারী অপরাধ। শতকরা ১২ ভাগ বলেছেন, ধর্ষিতা মদ্যপ অবস্থায় থাকলে ধর্ষণ গ্রহণযোগ্য।
জরিপের আলোকে গবেষকরা ধরে নেন, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন নারী তাদের জীবনকালের কোনও না কোনও সময় ধর্ষিত হন। তবে পুরুষদের প্রতিও এমনটা ঘটে থাকে। প্রতি ৭১ জনের মধ্যে একজন পুরুষ নারীদের যৌন লালসার শিকার হন। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট, আল জাজিরা।
/এমপি/