তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, থার্টিফার্স্ট নাইটে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের একটি নাইট ক্লাবে জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
নববর্ষের রাতে নাইট ক্লাবে চালানো ওই ভয়াবহ হামলায় নিহত হন ৩৯ জন। আহত হন কমপক্ষে ৬৯ জন। হতাহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকও ছিলেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, হামলাকারীদের খোঁজে ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
ওই সন্দেহভাজনকে পুলিশ সদর দফতরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তুর্কি পুলিশ এক সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই ব্যক্তি একজন অভিজ্ঞ পেশাদার হামলাকারী।
সোমবার উপ-প্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলকুস জানান, তুরস্কে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই ঘোষণা দেওয়ার পরই সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করে তুর্কি পুলিশ।
কুরতুলকুস আরও জানান, ‘কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও তিনি সেখতে কেমন, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।’
৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ইস্তানবুলের বেসিকতাস এলাকার জনপ্রিয় রেইনা নাইট ক্লাবে এ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানে প্রায় ৭০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হামলাকারীদের একজন সান্তা ক্লজের বেশে ছিল। হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের অতিরিক্ত গাড়ি এবং বেশকিছু অ্যাম্বুলেন্স। হামলার পর আহত অবস্থায় অন্তত ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়।
ওই হামলার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) একটি বিবৃতি দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তুরস্কে ক্রুশের সুরক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে আইএস পরিচালিত পবিত্র অভিযানের ধারাবাহিকতায় ইস্তানবুল হামলা চালানো হয়েছে। খিলাফতের একজন বীর সৈনিক এমন এক সুবিখ্যাত নাইট ক্লাবে হামলা চালিয়েছে, যেখানে খ্রিস্টানরা ইসলামবিরোধী ছুটির দিন কাটায়।’
সূত্র: আল-জাজিরা।
/এসএ/