X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

'এক চীন নীতি'র প্রশ্নে ট্রাম্পের ইউটার্ন

বিদেশ ডেস্ক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:০৫আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:১৭
image





'এক চীন নীতি'র প্রশ্নে ট্রাম্পের ইউটার্ন চীন প্রশ্নে একেবারে ইউটার্ন নিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন প্রশ্নে সমালোচনামুখর এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট নিজের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে এবার জানালেন, তিনি ‘এক চীন নীতি’কে সমর্থন করবেন। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এই খবর জানিয়েছে।

বস্তুত তাইওয়ানকে ‘অখণ্ড’ চীনের অংশ মনে করার নীতিই ‘এক চীন’ নীতি। ১৯৭২ সালে চীনের চেয়ারম্যান মাও সে-তুঙ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের মধ্যে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি মার্কিন সমর্থনের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের। এরপর থেকে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেননি। এতো বছর ধরে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেননি একটিবারের জন্যও। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে বিতর্কের জন্ম দেন। পাশাপাশি একাধিকবার এক চীন নীতি না মানার ইঙ্গিত দেন। এবার তিনি সেখান থেকে কেবল সরেই আসলেন না। বিপরীত অবস্থানে দাঁড়ালেন।
পলিটিকোর খবরে হোয়াইট হাউসের বিবৃতির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের ফোনালাপের সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং এক চীন নীতির প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। জবাবে ট্রাম্প এতে সম্মতি দেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে তিনি বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। আর এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি নন তারা।
এর মধ্যে বাণিজ্য প্রশ্নে চীনের সঙ্গে একরকম যুদ্ধ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ‘এক চীন’ নীতির পরিবর্তনে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি। ট্রাম্প বলেন, “সবকিছুই আসবে আলোচনায়, ‘এক চীন’ নীতিও।” তবে এবার উল্টো তিন্টি মত পরিবর্তন করলেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং তখন বলেছিলেন, ‘বিশ্বে কেবল একটাই চীন। আর তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ তিনি আরও বলেন, “চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তিই হলো ‘এক-চীন’ নীতি। তাই এ বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনও আলোচনা করবে না বেইজিং।” চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ৪৪ বছরের সেই রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন ট্রাম্প। ওই টেলিফোন আলাপের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে থাকে। এ ইস্যুতে বেইজিং প্রথম প্রতিক্রিয়ায় একে ট্রাম্পের অন্তবর্তী প্রশাসনের পররাষ্ট্রনৈতিক বোঝাপড়ার অভাব বলে উল্লেখ করে। পরে ট্রাম্পের আরও সমালোচনা হাজির করে চীন।
/বিএ/

সম্পর্কিত
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষে ঝুঁকছে পাকিস্তান
এই বর্ষায় নির্ধারিত হবে মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহীদের পরিণতি?
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
সর্বশেষ খবর
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বিজয়ী হলেন যারা
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বিজয়ী হলেন যারা
কদমতলীতে গলায় ফাঁস লেগে দশ বছরের শিশুর মৃত্যু
কদমতলীতে গলায় ফাঁস লেগে দশ বছরের শিশুর মৃত্যু
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব শুরু আজ থেকে
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব শুরু আজ থেকে
আজিজ মোহাম্মদসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ, খালাসের দাবি আসামিপক্ষের
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাআজিজ মোহাম্মদসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ, খালাসের দাবি আসামিপক্ষের
সর্বাধিক পঠিত
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার