সিরিয়ার রাকায় বাস্তুহারাদের আশ্রয় দেওয়া একটি স্কুলে এক বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এমন তথ্য জানিয়েছে। বুধবার সংস্থাটি দাবি করে, রাকার পশ্চিমে আল-মানসুরা গ্রামে ওই বিমান হামলা সংঘটিত হওয়ার পর অন্তত ৩৩টি মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন তারা। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটই এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে অবজারভেটরি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে এই বিমান হামলা হয়। রাকাভিত্তিক আইএস বিরোধী সংগঠন ‘রাকা ইজ বিয়িং স্লটারড সাইলেন্টলি’ গ্রুপও এ হামলার খবর নিশ্চিত করে। সংগঠনটি জানায়, এ বিমান হামলার পর অনেকেই নিহত কিংবা নিখোঁজ রয়েছেন।
আল-জাজিরার হাশেম আহেলবারা বলেন, ‘রাক্কা থেকে পালিয়ে আসা অনেক মানুষ ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে এই স্থানে আইএসের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাঙতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। অনেকেই বলছেন এখানে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
মার্কিন জোট সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স আইএসের কাছ থেকে রাকা পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আইএস মোকাবেলায় তারা রাকার তাবকাহ শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের এই অভিযানে ওই স্থান থেকে আইএসের প্রভাবও কমবে একইসঙ্গে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী থেকেও কৌশলগতভাবে এগিয়ে থাকবে তারা।
বুধবার পেন্টাগনের এক মুখপাত্র জানান, তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সিভিলিয়ান ক্যাজুয়ালটি টিমকে এই বিষয় অনুসন্ধানের আহ্বান জানাবে।
চলতি মাসের প্রথমেই এই জোট জানিয়েছিল ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২০ জন বেসামরিক নাগরিককে অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে তারা। তবে সমালোচকদের দাবি এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি
এসডিএফের ওয়াইপিজি বাহিনীর প্রধান বলেছিলেন রাকা পুনরুদ্ধারে এপ্রিলের শুরুতে অভিযান চালাবে তারা। তবে পেন্টাগন থেকে বলা হয়েছে, এখনও এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তারা।
সূত্র : আলজাজিরা
/এমএইচ/এফইউ/