তুরস্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে ঐতিহাসিক গণভোট। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের ভবিষ্যতও নির্ধারিত হবে। ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হলে অগাধ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সেই সঙ্গে এ নতুন ব্যবস্থায় আগামী ১২ বছরের জন্য এরদোয়ানই থাকবেন প্রেসিডেন্টের পদে।
রবিবার তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। অন্যান্য এলাকায় শুরু হয় সকাল ৮টায়। ভোটগ্রহণ চলবে যথাক্রমে বিকাল ৪টা ও ৫টা পর্যন্ত।
গণভোটের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট বেশি পড়লে নতুন সংবিধান অনুমোদন পাবে। এর ফলে তুরস্কের পার্লামেন্ট ব্যবস্থা পরিবর্তিত হবে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী শাসন কাঠামোতে।
আজ এক লাখ ৬৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার দেশের ভবিষ্যত নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করছেন। রাতেই গণভোটের ফলাফল পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
নতুন প্রস্তাবিত সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাজ করতে একাধিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। প্রেসিডেন্ট একাই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট আর মন্ত্রীদের ব্যাপারে তদন্ত করতে পারবে না। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
প্রেসিডেন্টের বিচারের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন লাগবে। পার্লামেন্ট সদস্যের সংখ্যা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিনে হবে। প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩ নভেম্বর ২০১৯।
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।
/এসএ/