উ. কোরিয়া নতুন করে আবারও একজন মার্কিন নাগরিককে আটক করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়নহাপ। ওই বার্তা সংস্থার দাবি, উত্তর কোরিয়া ছাড়ার চেষ্টা করার সময় পিয়ং ইয়ং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ওই মার্কিনিকে গ্রেফতার করা হয়।
ইয়নহাপকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির ডাক নাম কিম। আটক হওয়া মার্কিন নাগরিকের বয়স ৫০-এর কৌটায়। তিনি চীনের ইয়ানবিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। ত্রাণসংক্রান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক মাস ধরে তিনি উত্তর কোরিয়ায় ছিলেন।
বিবিসি জানায়, কিমকে গ্রেফতারের খবর সত্যি হলে, উত্তর কোরিয়ায় আটক মার্কিনির সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে। আগে আটক হওয়া দুইজনের একজন গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে সাজা ভোগ করছেন। অপরজন হোটেল থেকে একটি প্রপাগাণ্ডা প্রতীক চুরির চেষ্টার দায়ে কারাভোগ করছেন।
বিবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়া সফরের সময় হোটেল থেকে প্রপাগাণ্ডা প্রতীক চুরির চেষ্টার দায়ে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১ বছর বয়সী মার্কিন শিক্ষার্থী অটো ওয়ার্মবিয়েরকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের মার্চে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ কোরীয় বংশোদ্ভূত ৬২ বছর বয়সী কিম ডং চুলকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় উত্তর কোরিয়া। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগের বছরের অক্টোবরে।
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মধ্যে উত্তেজনা চলছে তখনই তৃতীয় মার্কিন নাগরিককে আটক করা হলো। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে নিজেদের ‘কৌশলগত সহ্যসীমা’ শেষ হয়ে গেছে বলে সম্প্রতি সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কোরীয় উপদ্বীপের দিকে পাঠানো মার্কিন বিমানবাহী রণতরীটির এ সপ্তাহের শেষ দিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা।
এরমধ্যে উত্তর কোরিয়াও হুঁশিয়ার করেছে, কোরীয় উপদ্বীপ অভিমুখে থাকা মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের উপর হামলা করতে প্রস্তুত আছে তারা। দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদমাধ্যম দ্য রোডং সিনমুনে বলা হয়, ‘আমাদের বিপ্লবী সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিধর রণতরী ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
/এফইউ/বিএ/