মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অপসারিত এফবিআই প্রধান জেমস কোমির এক কথোপকথনের অডিও অনুলিপি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে উইকিলিকস। জনগুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি ফাঁসের পক্ষে সরব এই সংবাদমাধ্যম ঘোষণা দিয়েছে, কেউ ওই কথোপকথনের অনুলিপি ফাঁস করতে পারলে তাকে ১ লাখ ডলার পুরস্কার দেবে তারা। শুক্রবার নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে সারা জাগানো ওই বিকল্প সংবাদমাধ্যম।
৯ মে (মঙ্গলবার) হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁসের তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে কোমিকে বরখাস্ত করা হয়। এর পরপরই তার দু'জন সহকর্মীর বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার সপ্তাহখানেক পর ট্রাম্প কোমিকে হোয়াইট হাউসে ব্যক্তিগত ডিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ সেই সময় ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন কোমি। বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতি সৎ থাকবেন৷নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, সেদিনের আলোচনা বরখাস্তের একটি কারণ হতে পারে বলে অপসারিত এফবিআই প্রধান কোমি মনে করছেন।
শুক্রবার ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় কোমিকে হুমকি দেন। তিনি টুইটার পোস্টে লেখেন, সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলার আগে কোমির বরং মনে করা উচিত যে আমাদের আলোচনার কোনও অডিও অনুলিপি নেই। ট্রাম্পের ওই টুইটের ১ ঘণ্টা পরেই উইকিলিকস তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে অডিও অনুলিপিটির জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে।
ডেমোক্র্যাটরা দাবি করছেন, ট্রাম্পের রুশ সংযোগ নিয়ে তদন্তের কারণেই কোমিকে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের কথা বিবেচনা করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স নামের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর বেশ কয়েকটি ভুল পদক্ষেপ নেওয়ায় কোমির ওপর আস্থা হারান ট্রাম্প।
বরখাস্ত হওয়ার পর কোমি তার সহকর্মীদের উদ্দেশে একটি বিদায়ী চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি সবাইকে নিজ দায়িত্বের প্রতি সৎ থাকার আহ্বান জানান। সেই চিঠিতে সহকর্মীদের উদ্দেশে কোমি বলেন, ‘ দুর্যোগের সময় মার্কিনিরা যেন এফবিআইকে শক্তিশালী, সৎ ও স্বাধীন ভূমিকাসম্পন্ন এক সংস্থা হিসেবে চিনে নিতে পারে। ... আপনারা মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার প্রশ্নে নিজেদের নীতিতে অটল থাকবেন বলেই আমার বিশ্বাস।’
/বিএ/