চলতি বছরে ইফতার বা ঈদে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করছে না মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। পররাষ্ট্র দফতরের দু’জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমন একটি অনুরোধ ইতোমধ্যে খারিজ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছেন।
রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, ১৯৯৯ সাল থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ইফতার বা ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ধর্ম বিষয়ক কার্যালয় ঈদুল ফিতরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ করেছিল। কিন্তু টিলারসন সে অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছেন বলে দুই কর্মকর্তা জানান। তবে জনসমক্ষে কথা বলতে বিধিনিষেধ থাকায় ওই কর্মকর্তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
রয়টার্সের কাছে আসা গত ৬ এপ্রিলের এক নথিতে দেখা যায়, পররাষ্ট্র দফতর থেকে ঈদুল ফিতর উদযাপনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও টিলারসন তা স্থগিত করেন।
এ সম্পর্কে বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র জানান, ‘রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপনে অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায় কিনা, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের এ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।’
মুসলিম অ্যাক্টিভিস্টরা আগে থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের ‘মুসলিমবিদ্বেষী’ নীতির সমালোচনা করে আসছেন।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ফারাহ পণ্ডিত বলেন, ‘যদি টিলারসন এ বছর রোজায় কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন না করেন, তাহলে এ বার্তাই সামনে আসবে যে, ট্রাম্প প্রশাসন মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। তাই তারা মুসলিমদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় না।’
এদিকে, রোজা শুরু উপলক্ষে এক বিবৃতিতে টিলারসন বলেন, ‘এ মাসটি হলো শ্রদ্ধা, উদারতা এবং আত্মোপললব্ধির। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে একত্রে অসহায়দের পাশে দাড়ানোর বিষয়টি।’
/এসএ/