লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের চূড়ান্ত সংখ্যা এ বছর জানা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটিতে ঠিক কতজন ছিলেন, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য পুলিশ নিহতদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সূত্র থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে ফাস্টফুডের দোকানও। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
১৪ জুন লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। ভবনটিতে ১২৯টি ফ্ল্যাট ছিল। সর্বশেষ পুলিশ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৭৯ বলে জানিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই নিহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে আসছেন নিহতদের স্বজন ও ক্ষুব্ধ লন্ডনবাসী। তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও আগুনে বেঁচে যাওয়া ও নিহতদের স্বজনরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সুপার ফিওনা ম্যাককোর্মাক জানান, নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়া যাবে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান ও শনাক্ত-প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর। তিনি বলেন, আমরা মনে করছি অন্তত ৮০ জন নিহত বা নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করছি, নিশ্চিতভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, কোনও ভুক্তভোগী বাদ পড়ুক আমরা তা চাই না। দুঃখজনক এই ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির তথ্য আমরা জানতে চাই।
পুলিশ জানায়, অগ্নিকাণ্ডের দিন রাতে গ্রেনফেল টাওয়ারে ঠিক কতজন অবস্থান করছিলেন, তা নিশ্চিত করে যে কারও পক্ষে কঠিন। কারণ শুধু ভবনটির বাসিন্দারা নয়, বেড়াতে আসা মানুষও ছিলেন তখন।
ম্যাককোর্মাক বলেন, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি গ্রেনফেল টাওয়ারে ১২৯টি ফ্ল্যাট ছিল। আমরা ফ্ল্যাটগুলোর মধ্যে ১০৬টির বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ও অতিথিদের সংখ্যা।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ১০৬টি ফ্ল্যাটের অন্তত ১৮ জন নিখোঁজ বা মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বাকি ২৩টি ফ্ল্যাটের মানুষের সংখ্যা জানতে আমাদের আরও গভীর ও ব্যাপক তদন্ত চালাতে হবে। আমরা এখনও এই ২৩টি ফ্ল্যাটের কোনও মানুষকে চিহ্নিত করতে পারিনি।
ম্যাককোর্মাক বলেন, এই অবস্থা আমরা ধারণা করতে পারি ২৩টি ফ্ল্যাটের বাসকারী বা ওইদিন বেড়াতে আসা কোনও অতিথিদের কেউ বেঁচে নেই। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/এমএনএইচ/