সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরকামীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জের ধরে এই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে দু'টি মামলা করেছে দেশটির মানবাধিকার গ্রুপ। গতকাল সোমবার সিয়াটল এবং বাল্টিমুরের ফেডারেল আদালতে মামলা দু'টি দায়ের করা হয়।
এক টুইটে ট্রাম্প সম্প্রতি মন্তব্য করেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনীর কোনো বিভাগে রূপান্তরকামী কোনও ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার গ্রহণ করবে না। আমাদের সেনাবাহিনীর একমাত্র লক্ষ্য হবে বিজয়। রূপান্তরকামীদের এই বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করে তাদের জন্য আমরা অত্যধিক চিকিৎসা ব্যয় এবং বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার বোঝা টানতে পারি না। জেনারেল ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। ’ একইদিনে ওই ঘোষণার সাপেক্ষে চাকরিক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য জারি করার অভিযোগ এনে সে সময় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ সদস্য মামলা করেন।
শুক্রবার রূপান্তরকামীদের নিয়োগ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানান ট্রাম্প। ওইদিনেই বাল্টিমুরে মামলাটি করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন এবং সিয়াটলে মামলা করেছে এলজিবিটি গ্রুপস ল্যাম্বডা লিগ্যাল অ্যান্ড আউট সার্ভ-এসএলডিএন।সমামলার আর্জিতে বলা হয়, মার্কিন সংবিধান সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের সেই নীতির লঙ্ঘন।
বাল্টিমুরে মামলাটি করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন এবং সিয়াটলে মামলা করেছে এলজিবিটি গ্রুপস ল্যাম্বডা লিগ্যাল অ্যান্ড আউট সার্ভ-এসএলডিএন।সমামলার আর্জিতে বলা হয়, মার্কিন সংবিধান সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের সেই নীতির লঙ্ঘন।
২০১৬ সালে ওবামা প্রশাসনের সময়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া নীতির কারণে সশস্ত্র বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের সরাসরি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে সেই নীতি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এখনও এটি পর্যালোচনাধীন। গত মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাট্টিস জানান, সামরিক বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের সরাসরি কাজের সুযোগ দেওয়ার নীতিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি এখনও্র ভাবছেন। এরইমধ্যে তৃতীয় লিঙ্গ নিষিদ্ধের ঘোষণা এসেছে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে।
নতুন করে আর তৃতীয় লিঙ্গের কাউকে অন্তর্ভূক্ত না করার ঘোষণা দিলেও ট্রাম্প জানাননি, এখন বাহিনীতে সক্রিয় তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের বেলায় কী ঘটতে চলেছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা হাকাবে স্যান্ডার্সও সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি এখনও। তবে আইনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে হোয়াইট হাউস ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে বিষয়টি আদালতে গড়াল। মার্কিন সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন জানিয়েছ, তারাও ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।