কক্সবাজারের কুটুপালং শরণার্থী শিবিরের ক্লিনিকে ছিলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান। এসময় এক ব্যক্তি আসে সেখানে। লোকটি ছিল ভীষণ উদ্বিগ্ন। ট্যানসহ কয়েকজনকে সে বাইরে আসার অনুরোধ করে। তাকে অনুসরণ করে বাইরে আসেন ট্যান এবং লোকটি মাটিতে থাকা একটি টুকরির দিকে ইঙ্গিত করে। টুকরি (ঝুড়ি) দেখে ট্যান ভেবেছিলেন হয়ত কোনও ফেরিওয়ালা তার কাছে সবজি বা মুরগি বিক্রি করতে চায়। এরপর বিস্ময়ে ধাক্কা খান ট্যান। টুকরির কম্বল সরাতেই দেখা যায় দুই নবজাতক পাশাপাশি শুয়ে আছে। নবজাতকরা যমজ।
মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়া আসা প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে এই যমজরাও রয়েছে। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসার পথে অনেক শিশুরও জন্ম হচ্ছে বলে এরই মধ্যে জানা গেছে। সর্বশেষ এই যমজের কথা জানা গেলো। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই নবজাতক যমজ শিশুদের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওতে উপরের কথাগুলো বলেছেন ভিভিয়ান ট্যান।
ইউএনএইচসিআর-র মুখপাত্র জানান, এরপর যমজ শিশুদের ক্লিনিকের ভেতরে নেওয়া হয়। পরে তাদের নবাজতক ওয়ার্ডে স্থানান্তর কর হয়। শিশুদের মাকে খাবার ও কাউন্সেলিং করা হয়।
ভিভিয়ান জানান, প্রতিদিনই এভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আসছে। চেষ্টা করা হচ্ছে এইসব মানুষকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার।