জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে সামরিক বাহিনীর অবস্থান ও প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের আটক থাকার অবস্থাকে ‘সেনা অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। দেশটিকে সাংবিধানিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটির প্রধান আলফা কোনদে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশিকতা থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময় দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন মুগাবে। তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে সাম্প্রতিক এই অভ্যূত্থানকে।
যদিও সেনাবাহিনীর দাবি, তারা কোনোরকম অভূত্থান নয়, অপরাধ দমনের অভিযান শুরু করেছে তারা। কোন ধরণের 'অভ্যুত্থান' এর অভিযোগ নাকচ করে সেনাবাহিনী বলছে, মুগাবে নিরাপদে আছেন। প্রেসিডেন্টকে ঘিরে থাকা অপরাধীদের শায়েস্তা করতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে এখন মুগাবের স্থলাভিষিক্ত কে হবে, তা নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে বরখাস্ত করা হয়েছে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাগাওগাকে।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পাবার পর থেকে, অর্থাৎ ১৯৮০ সাল থেকে বেশির ভাগ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন মুগাবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে ইতিমধ্যেই মুগাবের স্ত্রী গ্রেস মুগাবে নামিবিয়াতে পালিয়ে গেছেন। মুগাবেকে গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষ এখনো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জিম্বাবুয়ের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।