জার্মানির বনে অনুষ্ঠিত এ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে কৌশলগত বিভিন্ন সিন্ধান্ত গৃহীত হলেও কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়টি অমীমাংসিতই থেকে গেছে। তবে তা সমাধানের জন্য আগামী এক বছর ধারাবাহিক বিতর্ক করবে অংশ নেওয়া দেশগুলো। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা জানান, এবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তির শর্তগুলো নিয়ে বিভিন্ন দেশ একত্রিত হওয়ায় তারা খুশি। তবে কয়লা, তেল ও গ্যাস ব্যবহার কমানোর বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে গেছে। ফলে আগামী বছর পোল্যান্ড অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ভবিষ্যৎ আলোচনার মূল বিষয় হয়ে উঠবে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে করণীয় জটিল বিষয়গুলো সহজ করা ছিল এবারের সম্মেলেনের প্রধান উদ্দেশ্য। আর এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমাতে দেশগুলোর অঙ্গীকারকে আরও মজবুত করে তোলা।
এ লক্ষ্যে সম্মেলনে সভাপতিত্বকারী দেশ ফিজি বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। ফলে প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারগুলো মূল্যায়নের জন্য দেশগুলো আগামী এক বছর ধারাবাহিক বিতর্ক করবে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি ইয়ামিদে ডাগনেত বলেন, ‘শুধু টকশো হয়েই থাকবে না, এটা নিশ্চিত করা গেলে এই বিতর্কই পোল্যান্ড সম্মেলনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। এজন্য জাতীয় পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে দেশে ফিরে নিজেদের কার্যক্রম জোরদার করার ব্যাপারে মন্ত্রীদের অঙ্গীকার করতে হবে। যাতে ২০২০ সালের মধ্যেই সার্বিক জলবায়ু কার্যক্রম গতিশীল করা যায়। ’
বন সম্মেলনে কয়লা, তেল ও গ্যাস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে মার্কিন কয়লা ও পরমাণু কোম্পানিগুলো দাবি করেছে, বিশ্বের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার সমস্যা সমাধানে জীবাশ্ম জ্বালানিই গুরুত্বপূর্ন উপাদান হতে পারে।