ভারত-পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি সেনাদের শেলের আঘাতে ভারতীয় এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুজন। ভারতীয় সেনা ও পুলিশের দাবিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে। অপরদিকে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের দাবি, শনিবার রাত থেকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর ছোড়া শেলের আঘাতে ৯ জন আহত হয়েছে।
গত মাসে কাশ্মিরে একটি ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে হামলায় ছয় সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে চিরবৈরী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছে। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। এর জন্য পাকিস্তানকে মূল্য দিতে হবে বলেও সতর্ক করে দেশটি।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ দাবি করেন, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভিমবার গলিতে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা শুরু করে। ‘বিশেষ করে সাধারণ জনবসতি এলাকাগুলো ওদের নিশানায় রয়েছে। পাকিস্তানি বন্দুকের নল থামাতে ভারতীয় সেনারাও কঠোরভাবে জবাব দিচ্ছে’ - বলেন আনন্দ।
জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের মহাপরিচালক এস পি বৈদ বলেন, দেবতাধর গ্রামের চৌধুরী মোহাম্মদ রমজানের বাড়িতে একটি শেল গিয়ে আঘাত করলে ৫ জন নিহত হন। রমজানের ১৪ বছর বয়সী ও ৭ বছর বয়সী দুই মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন শেষ হওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুবার মুখোমুখি যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৪৭ ও ১৯৬৫ সালে উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সম্প্রতি ওই এলাকায় বেড়েছে গোলাগুলির ঘটনা। পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, চলতি বছরে ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা ও কার্যকর সীমানায় ৪০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। অন্যদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সরকারি তথ্যের বরাতে জানিয়েছে, এই বছরে ৪১১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তান।