প্রায় দুই মাসের ধারাবাহিক অভিযান শেষে সিরিয়ার আফরিনে কুর্দি গেরিলাদের (ওয়াইপিজি) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় দাবি করেছে তুরস্ক। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সির খবরে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ও সেনাসূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তুর্কি বাহিনী ও সিরিয়ার বিদ্রোহী সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) যৌথভাবে আফরিনে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এদিকে কাতারভিত্তিক আল জাজিরাও কুর্দি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে আফরিনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ওয়াইপিজিকে হটানোর লক্ষ্যে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আফরিনে সেনা অভিযান শুরু করে তুরস্ক ও এফএসএ। গত ২০ জানুয়ারি ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামে শুরু হওয়া অভিযানে বেশকিছু মানুষ হতাহত হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৮ মার্চ রবিবার কুর্দি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয় এফএসএ। রবিবার সকালেও উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানান, রবিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার সময় তুর্কি বাহিনী আফরিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এদিকে তুর্কি বাহিনীর এক টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, ‘তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি আফরিনের সিটি সেন্টার দখলে নিয়েছে।’ ওই এলাকায় কুর্দি গোষ্ঠী কোনো ল্যান্ডমাইন বা অন্য ধরনের বিস্ফোরক পুতে রেখে গেছে কি না- তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তুর্কি প্রশাসন।
দীর্ঘদিন ধরে আফরিনসহ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল পিওয়াইডি ও ওয়াইপিজি। আইএসবিরোধী যুদ্ধে সংগঠন দুটিকে এসডিএফ নামে ডাকে যুক্তরাষ্ট্র। এসডিএফকে মার্কিন সহায়তার কারণে বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভ জানিয়ে এসেছে তুরস্ক। ন্যাটোর এই দুই মিত্রের মধ্যে এ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে।
সেনাবাহিনীর শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, আফরিনের সিটি সেন্টারে তুরস্কের পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এফএসএ’র শেয়ার করা কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা রাস্তায় আনন্দ করছে, বিজয়ের সংকেত দেখাচ্ছে ও পতাকা উড়াচ্ছে।