X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশ্নের মুখে হুথি-ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার সৌদি দাবি

ফাহমিদা উর্ণি
২৭ মার্চ ২০১৮, ১৯:১৯আপডেট : ২৮ মার্চ ২০১৮, ০৯:৫৮
image

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে হুথি-ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার সৌদি দাবির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রবিবার সৌদি আরবের পক্ষ থেকে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এমন ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি করা হলেও ওইসব ভিডিও সৌদি দাবির যথার্থতা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সৌদি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কাছে পৌঁছানোর আগেই আপনাআপনিই নিষ্ক্রিয় ও বিস্ফোরিত হয়েছে। সমরাস্ত্র বিশ্লেষকরা বলছেন, ধ্বংস হওয়া হুথি-ক্ষেপণাস্ত্রে সৌদি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা প্যাট্রিয়টের আঘাতের কোনও আলামত মেলেনি। খোদ প্যাট্রিয়টের ইয়েমেনি-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এমন অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের সৌদি দাবিকে অতিরঞ্জন মনে করা হচ্ছে। আগেও সৌদি আরবের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে এবারের দাবির যথার্থতার ব্যাপারে সৌদি প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। সৌদি আরবের দাবি, হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইরানের তৈরি। এই দাবিতে সমর্থন রয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ইরান বরাবরই হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ নাকচ করে আসছে।
প্রশ্নের মুখে হুথি-ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার সৌদি দাবি

রবিবার (২৫ মার্চ) সৌদি জোটের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া সাতটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই দিন মধ্যরাতে রিয়াদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হুথিদের ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া জাজানকে লক্ষ্য করে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্রসহ নাজরান ও খামিস মুশাইত এলাকাকে লক্ষ্য ছোড়া আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্রও প্রতিহত করা হয়।

রবিবারের সেই হামলা প্রতিরোধের সৌদি প্রচেষ্টার কয়েকটি ভিডিও এরইমধ্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রবিবার রাতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ছোড়া একটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রে ত্রুটি দেখা দিলে মাঝ আকাশে এটি দিক-পরিবর্তন করে। একপর্যায়ে এটি রিয়াদের একটি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। আরেকটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের ভিডিও পর্যালোচনা করে এপি জানায়, উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরই সেটিও রিয়াদে বিস্ফোরিত হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ওইসব ভিডিও বিশ্লেষণ করে ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেফ্রে লেউয়িস এপির কাছে দাবি করেন, কোনও একটি হুথি ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি প্রতিরোধী ব্যবস্থায় ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনার থেকে একটিও প্রতিহত না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্নেল স্টিফেন গানইয়ার্ড এবিসি নিউজকে বলেন, কিছু প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র যদি সিস্টেমের প্রাযুক্তিক সীমাবদ্ধতার কারণে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যর্থ হয় তবে তিনি তা স্বাভাবিক বলেই মনে করবেন।

সৌদি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়া হাতে পাওয়া একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, রিয়াদের দিকে এগিয়ে আসা হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে সৌদি প্যাট্রিয়ট থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। তবে ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, প্যাট্রিয়টটি উৎক্ষেপণের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তা বিধ্বস্ত হয়। সেখান থেকে মাটিতে আছড়ে পড়া ওই জ্বলন্ত শিখা দেখে এক পথচারী চিৎকার করে ওঠেন। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাত্রই উৎক্ষেপিত একটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী হঠাৎ করে কোর্স চেঞ্জ করেছে এবং একটি আবাসিক এলাকার কাছে ভেঙে পড়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি সৌদি সেনাবাহিনী। একক বিবৃতিকে সৌদি সেনা কর্মকর্তা তুর্কি আল মালিকি দাবি করেন, ‘সাতটি হুথি-ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত ও ধ্বংস করা হয়েছে।’

সৌদি আরবের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, রয়েল সৌদি বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট প্যাক-টু ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে এ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছিল। আগতপ্রায় ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র তথাকথিত ব্লাস্ট ফ্র্যাগমেন্টেশন’ (শটগান শেলের মতো একটি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া)-এর ওপর নির্ভর করে। বিশ্লেষকরা এপিকে বলেছেন, সম্প্রতি হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধ্বংসাবশেষে সৌদি আরবের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্যাট্রিয়টের আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। রিয়াদে হামলায় হুথিদের ব্যবহৃত ৮০-র দশকের অনেক পরে বিকশিত ‘বুরকান’ অথবা ‘ভলকানো’ ক্ষেপণাস্ত্রে ওয়ারহেড রয়েছে, যা বিমানের মূল অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন। সেক্ষেত্রে প্যাট্রিয়ট-টু’র পক্ষে হুথি-ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে আঘাত করা তুলনামূলক কঠিন। জানুয়ারিতে জেন’স ডিফেন্স উইকলি-এর বিশ্লেষক জেরেমি বিন্নিও সৌদি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি সে সময় লিখেছেন, ‘১৯৯০-এর দশক থেকে প্যাট্রিয়ট প্যাক’কে ধীরগতির, স্বল্পপাল্লার অবিচ্ছিন্ন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে এটিকে বেগ পেতে হয়।’

লেউয়িসও ওই ক্ষেপণাস্ত্রের একই ধরনের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হুথিরা রিয়াদে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছুড়ছে তার পাল্লা ১০০০ কিলোমিটার এবং এর পৃথক ওয়ারহেড রয়েছে। প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থায় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে প্যাট্রিয়ট প্যাক-থ্রি (পিএসি-৩)ও ব্যবহার করে সৌদি আরব। ‌এগিয়ে আসতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রকে সরাসরি আঘাতের মতো সক্ষমতা রয়েছে এগুলোর। নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদে হুথিদের ছোড়া অন্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে আঘাত করার জন্য প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থা এটিকে ভূপাতিত করেছে।’ তবে আদৌ কোনও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ওই রকেটকে আঘাত করেছে কিনা তা নিয়ে লেউয়িস ও অন্যদের সন্দেহ রয়েছে।

প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি আলোচনায় আসে ১৯৯১ সালে পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়। সে সময় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী অধিকৃত কুয়েত থেকে ইরাকি স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের সেনাদের উৎখাত করেছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল, প্যাট্রিয়ট নিশানায় থাকা সাদ্দামের প্রায় সবক’টি স্কাড মিসাইল ধ্বংস করেছে। পরে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মাত্র ৯ শতাংশ ধ্বংস-ক্ষমতা রয়েছে।

জাতিসংঘ, পশ্চিমা দেশগুলো এবং ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট- সবাই বলছে ইরানি কিয়াম ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে ইয়েমেনের ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র বুরকান তৈরি করা হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সৌদি আরব ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘সামরিক আগ্রাসন’ প্রচেষ্টার অভিযোগ তোলেন। একই বছর ৭ নভেম্বর তারিখে বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ইরানের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলেন। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে সৌদি যুবরাজ বলেন, এ ঘটনা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইরানের যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। চলতি বছর সিএনএন-এর ২৬ মার্চ তারিখের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদি দাবির যথার্থতা মেনে জাতিসংঘও একই ধরনের মূল্যায়ন দিয়েছে। জাতিসংঘ সে সময় অভিযোগ তুলেছিল, হুথিদের কাছে ইরানি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে তেহরান যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান বরাবরই হুথিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, যদিও বিভিন্ন আলামত সে দাবির বিপরীত দিককেই ইঙ্গিত করছে।

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ইরান অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে ধারাবাহিক অভিযোগের মধ্যে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর নিজেদের দাবির পক্ষে আলামত উপস্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এদিন মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন কিছু অস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ উপস্থাপন করে দাবি করে, এগুলো ইরান থেকে সরবরাহকৃত। পেন্টাগনের দাবি, এগুলো ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে কিং খালেদ বিমানবন্দরে ইয়েমেন থেকে ছোড়া স্বল্পপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অংশবিশেষ, যা ইরানের তৈরি। পাশাপাশি ইয়েমেন থেকে সৌদি সরকারের উদ্ধার করা একটি ড্রোন ও একটি ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্রও উপস্থাপন করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেছে, কখন অস্ত্রগুলো হুথিদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে এবং কখন তা ব্যবহার করা হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। রয়টার্সের তখনকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোথায় অস্ত্রগুলো তৈরি হয়েছে তার সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা যায়নি। জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন দূত নিকি হ্যালিও একইদিন ওয়াশিংটনের কাছে একটি সেনা ঘাঁটিতে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, অস্ত্রগুলো ইরানেরই তৈরি। তিনি বলেন, ‘এগুলো ইরানে তৈরি করা হয়েছে, সেখান থেকে ইয়েমেনে হুথিদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে সৌদি আরবের একটি বেসামরিক বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মার্চে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ হাজার মানুষের। গৃহহীন হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। ভয়াবহ বিমান হামলার তাণ্ডবে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলার জবাবে গত বছরের ৫ নভেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে স্কাড-শ্রেণির ‘বোরকান-২’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ৩০ নভেম্বর আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। দুবারই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশে ধ্বংস করার দাবি করে সৌদি আরব। সর্বশেষ ২৫ মার্চ আবারও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করে সৌদি আরব।

 

/বিএ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
সর্বশেষ খবর
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
ইমরান খান ও বুশরা বিবিরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী