X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান কেন বাংলাদেশের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে পারে না

আশীষ বিশ্বাস, কলকাতা
২৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:৫০আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৪১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছে, সেজন্য কিছুদিন ধরে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। যুদ্ধের মাত্র ৯ মাসে যে ৩০ লাখ মানুষকে (বেশিরভাগই নিরস্ত্র) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার জন্য কোনও ধরনের অনুশোচনা দেখায়নি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বরং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে  গণহত্যা চালানোর জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হলে দেশটি অতীতের দুর্ভাগ্যজনক ইতিহাসকে ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নতুন ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে। ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক ওই অধ্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বানের বিপরীতে পাকিস্তানের এই আচরণ একদমই অপর্যাপ্ত।

তবে, আফগানিস্তান যুদ্ধে হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান এর ধর্মতাত্ত্বিক উৎস থেকে ক্রমেই সন্ত্রাসীদের জন্য পৃষ্ঠপোষক একটি দেশে পরিণত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান তারা প্রত্যাখ্যান করবে—এটা বিস্মিত হওয়ার মতো ঘটনা নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার এবং শাসন ব্যবস্থার জন্য গড়ে ওঠা রীতির প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে কোনও দেশ এ ধরনের পরিস্থিতিতে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়টিকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারতো। মর্যাদাপূর্ণভাবে অনুতাপ প্রদর্শনের মাধ্যমে ইসলামাবাদও নিজেদের স্থায়ী বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে সভ্য উপায়ে রেহাই পাওয়ার পথ খুঁজে পেতো। বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দাবির বদলে ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশই বরং পাকিস্তানকে তাদের কলঙ্কিত ইতিহাসের একটি সুচারু সমাধানের পথ তৈরি এবং দুদেশের মধ্যে নতুন করে সম্পর্কের সূচনার পথ সুগম করেছিল।

কিন্তু স্পষ্টতই সামরিক বাহিনীর আধিপত্যে থাকা পাকিস্তানের না আছে নিজেদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বা বিশ্ব ইতিহাসে এর স্থান নিয়ে কোনও উদ্বেগ, না আছে তরুণ প্রজন্মের কাছে রেখে যাওয়া নিজেদের ক্ষতিকর উত্তরাধিকার নিয়ে বলার মতো কিছু।

এ পর্যন্ত যা হয়েছে, খারাপ হয়েছে—কিন্তু ভালো করার জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টার চিহ্ন তরুণ পাকিস্তানিদের মধ্যে এখনও দেখতে পাওয়া সম্ভব, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মঙ্গলেরই আভাস।

পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার অর্থ পরোক্ষভাবে এটা স্বীকার করে নেওয়া, সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতির অন্তর্ভুক্তি তাদের নিজেদের জন্য ধ্বংসাত্মক বলে প্রমাণিত হয়েছে। নিজেদের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রতি তারা যে শোষণমূলক নীতি গ্রহণ করেছিল, তা ছিল নিন্দনীয় এবং চূড়ান্তভাবে ভুল।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে অস্বীকার করলে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-জাংভি, লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সংগঠন (এর কোনও কোনোটি আন্তর্জাতিকভাবে কালো তালিকাভুক্ত) ও এদের অনুসারীদের কাছে পাকিস্তানের গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপকভাবে কমে যাবে।

ফলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও ক্ষমা চাওয়া হবে না। কারণ, ভারতবিদ্বেষী পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর জন্যও এটি একটি বড় ধরনের পরাজয়। বড় বড় সামরিক কর্মকর্তা, মাদক ব্যবসায়ী আর ইসলামি উগ্রপন্থীরা ইসলামাবাদের বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করে আসছে। তাই ১৯৭১-পরবর্তী আন্তর্জাতিক মুসলিম সন্ত্রাসবাদের পক্ষে থাকা ও প্রো-জিহাদি ভাবমূর্তি ধরে রাখাটাই পাকিস্তানের জন্য শ্রেয়।

বাংলাদেশের উত্থানের পর পাকিস্তান এর পূর্বাঞ্চল সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে চলে যায়। তারা এ সময়ে চরমভাবে অস্থিরতায় থাকা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে উন্নয়নে মনোযোগী ও অংশীদার হওয়ার পথকেই আন্তরিকভাবে বেছে নেয়। তাতে করে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যের পথ তৈরি হলেও তার ক্ষতিপূরণও ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যতদিন পর্যন্ত ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসলামাবাদকে নিজেদের মিত্র হিসেবে ব্যবহার করতে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত ডলার আসতেই থাকবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মনোভাবে পরিবর্তন বা নৈতিক গ্লানির বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়, যেগুলো মূলত তখনই আসে যখন মানুষের পেটে খাবার থাকে এবং নির্বাচন পরিণত হয় তামাসায়!

আরেকটি বিষয় হলো— ইসলামি উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের উভয়পক্ষের যে ভণ্ডামিপূর্ণ আচরণ, তা সম্পর্কে ক্রমেই সচেতন হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলো।

২০১৮ সালে এসেও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে পাকিস্তান এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ১৯৭১ সালের পরও দেশটিতে তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি বললেই চলে।

তা সত্ত্বেও ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানকে একটি দেশ হিসেবে নিন্দা জানানোটা শোভন নয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়া ও দেশটির পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ঘটনায় গভীরভাবে অনুতাপ করে থাকেন দেশটিরই অনেক সাধারণ ও ভদ্র মানুষজন। এর মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম, যাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। এর বাইরে বয়স্ক নাগরিকরাও আছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সন্দেহাতীতভাবেই গণমাধ্যমকর্মীরা। এসব মানুষ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনার কঠোর সমালোচনা করে থাকেন।

পাকিস্তানে এমন অনেক টিভি চ্যানেল রয়েছে, যেখানে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্যের স্বীকার হওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। কীভাবে স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি, পরিবার পরিকল্পনা ও সাধারণ শিক্ষার মতো বিভিন্ন খাতে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে কথা বলেন তারা।

বাংলাদেশের চেয়ে বেশি গাড়ি ও স্মার্টফোন থাকায় পকিস্তান হয়তো গর্ববোধ করতে পারে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে (৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।  মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীর দিক থেকেও এগিয়ে বাংলাদেশ (৮৪ শতাংশ মানুষের হাতে মোবাইল, পাকিস্তানে ৬৮ শতাংশ)। পাকিস্তান তুলনামূলকভাবে বিদেশি সহায়তা বেশি পেলেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক ঋণের দিক থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ।

সাধারণভাবে বাংলাদেশিদের তুলনায় পাকিস্তানিরা একটু স্বাস্থ্যবান। তবে বেকারত্বের হার পাকিস্তানে অনেক বেশি। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সহিংসতা ও এর সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাবের কথা তো বাদই থাকলো। এর ওপর, ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের জিডিপি ২৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করার পথে রয়েছে, যা ২০২১ সাল নাগাদ পাকিস্তানের জিডিপিকে অতিক্রম করবে। পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেশি নয়। বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৬ হাজার মেগাওয়াট, যা ২০২০ সাল নাগাদ ২২ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাবে। তৈরি পোশাক রফতানিতেও বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়।

২০২১ সাল নাগাদ মিয়ানমার ও লাওসের পাশাপাশি বাংলাদেশও মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে, যা ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটাবে।

এখানে এটা বলা জরুরি যে, এসব পরিসংখ্যানের বেশিরভাগই ২০১৬-২০১৭ সালে পাকিস্তানের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে নেওয়া।  বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোতে যখন দেখা যায় পাকিস্তানি তরুণরা আগ্রহভরে বাংলাদেশি জাতীয় সংগীত শুনছে  এবং তারা তাদের ‘পূর্বের ভাইদের জন্য’ শুভকামনা জানাচ্ছে তখন তা খুব আশাবাদী হয়ে ওঠে।    

একইরকম করে কিছু পাকিস্তানি চ্যানেলে কলকাতার মতো বড় বড় শহরগুলোর বর্তমান অবস্থা ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত অনুষ্ঠান দেখতে পাওয়াটাও উৎসাহব্যাঞ্জক। সেখানে বেশিরভাগ মানুষ তাদের প্রশংসা ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের সুস্পষ্ট আগ্রহের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পুষ্টিকর চিহ্ন।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উন্নয়ন নিয়ে ভারতের বিশেষ করে সেখানকার তরুণদের প্রতিক্রিয়া কী, সে ব্যাপারে বলতে গেলে—বলতে পারি প্রতিবেশিদের ব্যাপারে আরও বেশি করে জানার প্রতি তাদের একইরকমের আগ্রহ ও কৌতূহল আছে। এসব প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে তাদের খাদ্য, ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের অনেক মিল রয়েছে।

বিশ্লেষক চারুব্রত রায় বলেছেন— ‘যখন আজকের তরুণ প্রজন্ম উপমহাদেশের তিনটি দেশের সবগুলোর ক্ষমতা গ্রহণ করবে,  তখন নতুন কোন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে কে জানে? হতে পারে পাকিস্তান নিঃসঙ্কোচে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে,  ভারত ও পাকিস্তানও একে অপরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবে.... এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আশার যুগের সূচনা হবে?’

কর্নেল সব্যসাচী বাগচি বলেন, ‘ভালো আরেকটি জায়গা হলো বাংলাদেশের সমস্যার সুযোগ নেওয়ার জন্য ভারতকে দোষারোপের প্রবণতা থেকে সরে এসেছে পুরনো প্রজন্মের পাকিস্তানিরা।  তারা এখন এ ব্যাপারে সম্মত যে,  রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বাস্তববাদী এ রাজনীতির বিশ্বে তারা যদি ইন্দিরা গান্ধীর জায়গায় থাকতো, তবে বাংলাদেশের জন্য একই ভূমিকাই পালন করতো’, বলেন সব্যসাচী।  

/টিআর/এফইউ/এপিএইচ/আপ-এএ/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতায় উদযাপিত হলো ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’
২০২৪ সালের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশ ১৬তম
বিএনপির প্রবাসী নেতাদের গ্রেফতারের অপেক্ষায় অ্যাসাইলাম শিকারিরা
সর্বশেষ খবর
ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!