X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মিরে কেন আলোচনায় হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু?

বিদেশ ডেস্ক
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৩আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৬

কাশ্মির পুলিশের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ ও মুক্তির ঘটনায় আবারও সামনে এসেছে রিয়াজ নাইকু নামে এক হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডারের নাম। এই মুহূর্তে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি রিয়াজ নাইকু। ২০১৬ সালে কাশ্মিরের বিদ্রোহের অন্যতম পরিচিত মুখ বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নজরে আসেন ৩০ বছর বয়সী নাইকু। তার মাথার মূল্য ১২ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে ভারত।

কাশ্মিরে কেন আলোচনায় হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু?

জম্মু-কাশ্মিরে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিন সবচেয়ে সক্রিয়। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটিকে ভারতের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রও সন্ত্রাসী সংগঠন বিবেচনা করে থাকে। আদর্শগতভাবে সংগঠনটি কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে।

কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুর শহরের দুরবাগ এলাকার নাইকু মহল্লার বাসিন্দা রিয়াজ নাইকুকে ‘এ++’ ক্যাটারগরির সন্ত্রাসী বিবেচনা করে ভারত। কাশ্মিরের এই ক্যাটাগরিতে পড়া বিদ্রোহীদের মোস্ট ওয়ান্টেড ধরা হয়। গত বছরের জুন মাসে সাবজার ভাট নিহত হওয়ার পর হিজবুল মুজাহিদিনের কাশ্মির উপত্যকার প্রধান নিযুক্ত হন রিয়াজ নাইকু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের কেন্দ্রীয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘ নাইকুকে এখন পুরো উপত্যকায় হিজবুল মুজাহিদিনের সামগ্রিক কমান্ডার বিবেচনা করা হয়। গত এক বছরে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে ঘেরাও করলেও প্রতিবারই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।’ ওই কর্মকর্তা বলেন, নাইকু এমনভাবে তার ইমেজ গড়ে তুলেছেন যেন তিনি এক আধুনিক বিদ্রোহী। তিনি বলেন, গত বছর প্রকাশ করা এক ভিডিওতে নাইকু বলেন কাশ্মিরি পণ্ডিতদের ফিরে আসাকে স্বাগত জানাবেন তিনি। দাবি করেন কাশ্মিরের বিদ্রোহীরা পণ্ডিতদের শত্রু নয়।

নাইকুর দুই ঘনিষ্ট সহকারী আলতাফ খসরু ও সাদ্দাম পেদ্দার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হয় নিহত সতীর্থদের শেষকৃত্যে ‘গান স্যালুট’ দিয়েছিলেন রিয়াজ নাইকু। আরেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, নিহত বিদ্রোহীদের শেষকৃত্যের সময়ে শ্রদ্ধা জানাতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছিলেন নাইকু।

নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ধারণা, নিজের ইমেজ ব্যবহার করে দক্ষিণ কাশ্মিরের অনেক তরুণকে বিদ্রোহের পথে টেনে নিতে পেরেছেন রিয়াজ নাইকু। বুধবার সন্ধ্যায় রিয়াজ নাইকুর বাবা আসাদুল্লাহ নাইকুকে পুলিশ আটকের পরই পুলিশ পরিবারের ১১ সদস্যকে অপহরণ করে হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্যরা।

শুক্রবার রাতে নতুন এক অডিও বার্তায় হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার রিয়াজ নাইকু অপহৃতদের মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি হুমকি দেন, তার সতীর্থদের যেসব আত্মীয়স্বজনকে পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী আটক করে রেখেছে, তাদের তিনদিনের মধ্যে যদি না ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুলিশ-কর্মীদের আত্মীয়দের বড় শাস্তি পেতে হবে। পুলিশ সদস্যদের ‘ভারতীয় এজেন্ট’ না হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

/জেজে/এএ/
সম্পর্কিত
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
সর্বশেষ খবর
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
ইউক্রেনকে ৫৫০ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে সুইজারল্যান্ড
ইউক্রেনকে ৫৫০ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে সুইজারল্যান্ড
সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী, তীব্র গরমকে দুষছেন বিক্রেতারা
সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী, তীব্র গরমকে দুষছেন বিক্রেতারা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী