চীনের পণ্য আমদানির ওপর ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সহকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজ এই খবর দিয়েছে। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া বার্তা সংস্থা রযটার্সও একই খবর দিয়েছে। ব্রিটিশ এই বার্তা সংস্থাটি সূত্র হিসেবে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার কথা উল্লেখ করলেও তার নাম প্রকাশ করেনি। কবে থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে তাও পরিস্কার করেনি বার্তা সংস্থাটি।
শুল্ক বাড়ানোর এই খবরের পর মার্কিন বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনা পণ্যের ওপর ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন এই শুল্ক কার্যকর করা হলো। এছাড়া ওই সময়ে তিনি কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন তিনি চাইলেই যেন আরও অতিরিক্ত ২৬৭ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করা যায়।
এর আগে চলতি সপ্তাহে মার্কিন শুল্ক দফতর চীনের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানায়। বিশ্বের সব চেয়ে বড় দুই অর্থনীতির বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয় চীনা কর্মকর্তাদের। এর মধ্যেই শুল্ক কার্যকরের খবর সামনে এলো।
চীনের সঙ্গে অন্যায্য বাণিজ্য চলছে বলে প্রায়ই সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে তিনি প্রায়ই এই প্রচারণা চালিয়েছেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরও তিনি ওই সমালোচনা অব্যাহত রাখেন।
গত জুলাইতে প্রথমবারের মতো চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে চীনও।ওই সময়ে বেইজিং সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, ওয়াশিংটন আরও শুল্ক আরোপ করলে তারাও একই পদক্ষেপ নেবে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির পূর্ণ মাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধ বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন ‘চীনের অন্যায্য বাণিজ্যের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে।