যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে সমর্থন করেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন তিনি। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই জনসন ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে থেরেসা মে’কে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের খরব শোনা যাচ্ছিল। এরপরই জনসনকে উদ্ধৃত করে খবর বের হয় তিনি মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে চেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে জনসন সংবাদপত্রটিকে বলেছেন, ‘এটা নেতৃত্বের বিষয় নয়। এটা ওই নীতি বিষয়ক ব্যাপার। এটা প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের জন্য নয়। এটা পরিকল্পনার বিষয়ে অবস্থান।’
গত জুলাই মাসে থেরেসা মে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা প্রকাশের পর জনসন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ওই পরিকল্পনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের কথা বলা হয়েছে। এতে এসব পণ্য বিষয়ে একটি সাধারণ নিয়ম মেনে নেওয়া হয়েছে। জনসনসহ এই পরিকল্পনার বিরোধীরা বলছেন, এতে যুক্তরাজ্য কোনও প্রকার মতামত না দিয়েই ব্রাসেলসের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হবে।
২০১৭ সালের নির্বাচনে পার্লামেন্টে নিজ দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর থেকেই থেরেসা মে’র নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি করার বিষয়ে তাকে অনেকটা দুর্বল করে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য আগামী বছরের ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করছে। ইইউ ও যুক্তরাজ্য বিষয়টি নিয়ে একটি চুক্তি করতে চাইছে। যাতে ব্রেক্সিটের পূর্বেই দুই পক্ষের পার্লামেন্টে বিষয়টি পাস করা যায়।
যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টি শুক্রবার থেরেসা মে’র জন্য আরেকটি সমস্যা তৈরি করেছে। দলটির একজন শীর্ষ আইনপ্রণেতা সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস’কে বলেছেন যে, দলটি মে’র করা যেকোনও ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, ইইউ থেকে কার্যকরভাবে বেরিয়ে যেতে না পারার কারণে আগামী ক্রিসমাসের আগেই তাকে পদত্যাগ করতে হতে পারে।