সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির অন্তর্ধান নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেট ভবনে এই সাংবাদিককে হত্যার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে আঙ্কারায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রিয়াদে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানে সঙ্গে বৈঠক করেন পম্পেও। সৌদি যুবরাজ সাংবাদিক নিখোঁজে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পম্পেও।
রিয়াদের কঠোর সমালোচক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর আর বের হননি। সৌদি আরব অবশ্য বলছে, খাশোগি কনস্যুলেট ভবন থেকে বের হয়ে গেছেন। তবে তুরস্কের পক্ষ থেকে এর প্রমাণ চাওয়া হলে তা সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে রিয়াদ। তুরস্কের দাবি, তাদের তদন্তকারীদের হাতে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে ওয়াশিংটন পোস্টের এই কলাম লেখককে হত্যা করা হয়েছে। ২ অক্টোবর তুরস্কে আসা ১৫ সদস্যের একটি সৌদি দল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আঙ্কারার। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরব সফর শেষে তুরস্কে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসলোগু বলেছেন, পম্পেও এর সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠক ‘ফলপ্রসু এবং সুবিধাজনক হয়েছে’।
যুক্তরাষ্ট্রে আবাসিকতার অনুমতি রয়েছে খাশোগির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরইমধ্যে খাশোগিকে সৌদি আরবকে সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দোষী’ সাব্যস্ত হবে রিয়াদ।
খাশোগিকে অন্তর্ধান নিয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের চাপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। মঙ্গলভার জি-৭ গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য রিয়াদকে আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে সৌদি আরবে বিনিয়োগ সম্মেলনে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিয়ান লগার্দে। আগামী সপ্তাহে রিয়াদে আয়োজিত ওই বিনিয়োগ সম্মেলনে যেতে এরইমধ্যে অনাগ্রহ দেখিয়েছে বহু শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।