X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নববর্ষ: সামোয়াতে সবার আগে, সামোয়াতেই সবার পরে!

বিদেশ ডেস্ক
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৪২আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪৪
image

আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ঘেঁষে অবস্থিত হওয়ার কারণে সামোয়া দ্বীপপুঞ্জেই প্রথম আসে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন। কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রে পৃথক হয়ে যাওয়া ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের ধারাবাহিকতায় সেখানে এখন দুইটি ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি। স্বাধীন দেশ সামোয়া একদিকে যেমন সবার আগে নববর্ষ পালন করে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বশাসিত অঞ্চল আমেরিকান সামোয়াতে নতুন বছরের প্রথম দিন আসে তার একদিন পরে। দুই অংশের মধ্যে পার্থক্য মাত্র ১৬৩ কিলোমিটারের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, স্বাধীন দেশ সামোয়ার সঙ্গে তার প্রতিবেশী কিরিবাতিও সবার আগে পালন করে নববর্ষ। একসময় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা এর ওপর দিয়ে যেত। ফলে সেখানকার দুই অংশের মধ্যেও দেখা যেত দুই বছরের দুই ভিন্ন তারিখ। নববর্ষ: সামোয়াতে সবার আগে, সামোয়াতেই সবার পরে!

আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা নির্দিষ্ট করা হয়েছে ১৮৮৪ সালে। এর এক দিকের সঙ্গে আরেক দিকে পার্থক্য একদিনের। রেখাটির অবস্থান উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ বরাবর। অবশ্যটি এটি পুরোপুরি সোজা নয়। ভূ-রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা থেকে রাশিয়ার সবচেয়ে পূর্বের অংশ ও আলাস্কার অ্যালিউটিয়ান দ্বীপের কাছে রেখাটি বাঁকা।

সামোয়া ও কিরিবাতি আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার পশ্চিমাংশের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত। ১৯৯০ সালের আগে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কিরিবাতির ওপর দিয়ে যেত, যার ফলে কিরিবাতির দুই অংশে থাকত দুই তারিখ। পরে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাটি কিরিবাতির সর্বপূর্বের দ্বীপ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে কিরিবাতি জুড়ে এখন একটি তারিখই থাকে। সবার আগে সামোয়ার সঙ্গে পুরো কিরিবাতি উদযাপন করতে পারে ইংরেজি নববর্ষ।

১৭০০ সালের দিকে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তি সামোয়া দ্বীপপুঞ্জে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে দ্বীপপুঞ্জের একাংশ যায় জার্মানির নিয়ন্ত্রণে। আরেকাংস থাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এর জার্মান অংশটির দেখভাল করত নিউ জিল্যান্ড। ১৯৬২ সালে এই অংশটি স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু আমেরিকান সামোয়া একটি স্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থেকে যায়।
২০০১ সাল পর্যন্ত পুরো সামোয়া দ্বীপপুঞ্জ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার এক পাশেই ছিল, পূর্ব দিকে। ফলে এখানেই বিশ্বের সবার পরে আসত নববর্ষ। এতে প্রধান দুই বাণিজ্যিক সহযোগী নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লেনদেনে সমস্যা হতো সামোয়ার। দেশটির সুবিধার জন্য আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে আবার নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আমেরিকান সামোয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক, সেহেতু তারা রেখার পূর্বদিকেই থেকে যায়।

সামোয়া ও আমেরিকান সামোয়ার মধ্যে দূরত্ব মাত্র ১৬৩ কিলোমিটার। তারপরও আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা এই দুই অংশের মধ্যে পড়ায় তাদের সময়ের পার্থক্য হয় পুরো একদিন। ফলে স্বাধীন দেশ সামোয়া কিরিবাতির সঙ্গে সবার আগে যখন নববর্ষ উদযাপন করে তখন আমেরিকান সামোয়া পিছিয়ে থাকে পুরো একদিন। সেখানে নববর্ষ আসে সবার পরে। নববর্ষ: সামোয়াতে সবার আগে, সামোয়াতেই সবার পরে!

/এএমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
সর্বাধিক পঠিত
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!