X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে জয়েশ-এ-মোহাম্মদ’র নামে যতো হামলা

বিদেশ ডেস্ক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫২আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:০৩

২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর ধারণা ছিল তারা জয়েশ-এ-মোহাম্মদকে কোণঠাসা করতে পেরেছে। কিন্তু গত দুই বছরে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির উপত্যকায় সবগুলো বড়ো হামলায় এই সংগঠনের জড়িত থাকার ইঙ্গিত ছিল। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পুলওয়ামাতে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ’র গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৪০ জনের অধিক জওয়ানকে হত্যার দায় স্বীকার করে জয়েশ-এ-মোহাম্মদ। যা ভারতের স্বাধীনতার পর কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় হামলা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাদের হামলায় বেশ কয়েকবারই যুদ্ধের কিনারায় পৌঁছেছিল পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান।

মাসুদ আজহার

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবর ও প্রতিবেদন অনুসারে, জয়েশ-এ-মুহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার। ১৯৯৪ সালে কাশ্মিরে এক মাস কাটিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা থেকে শুরু করে পাঠানকোটে সেনাঘাঁটিতে তার নেতৃত্বেই জয়েশ হামলা চালায়। এই সংগঠনই কাশ্মির উপত্যকায় আত্মঘাতী হামলার প্রচলন করে। বিশেষ করে গাড়িতে বিস্ফোরক বসিয়ে বৃহস্পতিবারের মতো হামলা জয়েশ-ই শুরু করে। কাশ্মিরে সাম্প্রতিক সময়ে যতগুলো বড় ধরনের হামলা হয়েছে সবগুলোতেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে রয়েছে জয়েশ-এ-মুহাম্মদের নাম।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, কাশ্মির উপত্যকায় এখন তৃতীয় বড় জঙ্গি সংগঠন হলো জয়েশ। তাদের থেকে এগিয়ে রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈয়বা। কিন্তু গত দুই বছরে উপত্যকায় সব বড় হামলায় এই সংগঠন জড়িত। গত বছর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারসহ ৪০ অধিক সদস্য নিহত হলেও সংগঠনটির শক্তি বিন্দুমাত্রও কমেনি।

পুলিশের তথ্য অনুসারে, কাশ্মিরে ৫৬ জনকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৩ জন পাকিস্তানি ও ২৩ জন স্থানীয়। এসব জঙ্গির মধ্যে ২১ জন উত্তর কাশ্মিরে সক্রিয়। দক্ষিণ কাশ্মিরে প্রায় ৩৫ জন জয়েশ জঙ্গি রয়েছে, এদের মধ্যে ২১ জন স্থানীয়। শ্রীনগর, বুডগাম ও গান্দারবাল জেলায় এই সংগঠনের কোনও কর্মকাণ্ড নেই বলে মনে করা হয়।

জয়েশ পুনরুত্থানে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক নজরদারির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে ভারতীয় পুলিশ। এই নজরদারির কারণে হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈয়বা থেকে নিজেদের দূরত্ব রাখছে পাকিস্তান। লস্কর-এর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদকে যুক্তরাষ্ট্রের পলাতক আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে, তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকের পর বন্দি বিনিময়ে মুক্তি পান মাসুদ আজহার

ভারতীয় পুলিশের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপত্যকায় জয়েশ-এ-মুহাম্মদের সামনের চলে আসার পেছনে  সম্ভবত কারণ হচ্ছে লস্কর-ই-তৈয়বা ও সংগঠনটির প্রধানের ওপর নজরদারি জোরদার হওয়া। ২০১৭ সালে লস্কর ও হিজবুল বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে, তাদের শীর্ষ কমান্ডারদের অনেকেই নিহত হয়েছে। পাকিস্তানভিত্তিক তাদের নির্দেশদাতারা উপত্যকায় জয়েশ কর্মীদের সক্রিয় করা শুরু করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য ফিদাইনের মতো করে হামলা চালানো। যাতে করে নিরাপত্তাবাহিনী অভিযান থেকে কিছুটা পিছু হটে এবং লস্কর ও হিজবুলরা ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে জন্ম মাসুদ আজহারের। আফগানিস্তানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করা হরকাত-উল-আনসারের সদস্য ছিলেন ছিলেন। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বাজপেয়ী সরকারের আমলে কান্দাহার হাইজ্যাকের ঘটনায় বন্দি বিনিময়ের অংশ ছিলেন তিনি। মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই জয়েশ-এ-মুহাম্মদ গড়ে তোলেন তিনি। প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মধ্যেই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে উপত্যকায় উপস্থিতির জানান দেয় সংগঠনটি। প্রথম হামলায় ১৭ বছরের এক কিশোর শ্রীনগরে সেনা দফতরে গাড়িবোমা নিয়ে হামলা চালায়। ঘাঁটির ফটকেই গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়। আতঙ্কে হামলাকারী কিশোর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বোমার ট্রিগার চেপে দেয়। একই বছরে বড়দিনে ২৪ বছরের এক ব্রিটিশ নাগরিক একই ঘাঁটিতে হামলা চালায় গাড়িবোমা নিয়ে। হামলায় পাঁচ ভারতীয় সেনাসহ ১১ জন নিহত হয়। জয়েশ-এর প্রকাশনায় হামলাকারীর পরিচয় জারব-ই-মোমিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে জয়েশ-এ-মুহাম্মদের হামলা

শুরুতেই এসব হামলার মধ্য দিয়ে লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে নিজেদের বড় ধরনের পার্থক্যের জানান দেয় জয়েশ। ইসলামে আত্মহত্যা নিষিদ্ধ বলে আত্মঘাতী হামলা থেকে বিরত থাকে লস্কর-ই-তৈয়বা। এছাড়া জয়েশ-এর সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। পাকিস্তানকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে তারা এই সম্পর্ক কাজে লাগাচ্ছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জম্ম-কাশ্মিরের অ্যাসেম্বলিতে জয়েশ’র আত্মঘাতী হামলার পর পাকিস্তানও নিন্দা জানাতে বাধ্য হয়েছিল। হামলায় শুধু বেসামরিক নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল তা নয়, হামলাকারী হিসেবে যে আত্মঘাতীর পরিচয় দিয়েছিল জয়েশ, সে ছিল পাকিস্তানি নাগরিক ওয়াজাহাত হোসেইন। ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুটি হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থন হারায় জয়েশ-এ-মুহাম্মদ।

ভারতে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ সুবিধা পায় গোয়েন্দা। ২০০৪ সালের শুরুতে অনুপ্রবেশকারীর দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে শীর্ষ কমান্ডারদের এক বৈঠকে অভিযান চালিয়ে সবাইকে হত্যা করে গোয়েন্দারা। ওই অভিযানের পর প্রায় এক দশক কাশ্মিরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে প্রচেষ্টা চালায় জয়েশ। যদিও তারা নিয়মিতই যোদ্ধা হারাচ্ছিল। ২০১ সালের মার্চে সংগঠনের কাশ্মির প্রধান সাজাদ আফঘানি নিহত হয় ওমর বিলাল নামের সহযোগীর সঙ্গে। তিন মাস পর আরেক গোয়েন্দা অনুপ্রবেশকারীর সহযোগিতায় আরেক জয়েশ কমান্ডারকে হত্যার করে ভারত।

উরি সেনাঘাঁটিতে হামলা

আফঘানির স্থলাভিষিক্ত হন পাকিস্তানি নাগরিক ক্বারি ইয়াসির। কিন্তু ২০১৩ সালের জুলাই মাসে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। ইয়াসিরের পর দায়িত্ব উপত্যকার দায়িত্ব নেন আদিল পাঠান। তাকেও ২০১৫ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের নাগরিক আব্দুল রেহমানের সঙ্গে হত্যা করা হয়। পাঠান ছিলেন জয়েশ’র পাকিস্তানভিত্তিক অভিযানের প্রধান মুফতি আফগরের ভাই।

২০১৩ সালেই আলতাফ বাবা নামের স্থানীয় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরে সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তাকেও হত্যা করে পুলিশ। পায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক গোপন তথ্য। দীর্ঘদিন পর ২০১৫ সালের নভেম্বরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে একটি ব্রিগেড সদর দফতরে একটি বড় হামলার দায় স্বীকার করে জয়েশ। হামলাকারীদের আফজাল গুরু স্কোয়াড নাম দেওয়া হয়। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ এই দায় স্বীকারের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিল।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, ২০১৬ সালের আগস্টে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানিকে হত্যার পর বিক্ষোভের সময় জয়েশ’র দুটি দল কাশ্মিরে প্রবেশ করে। স্থানীয়দের মধ্যে জয়েশ’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল মাত্র তিন ফুট লম্বা নুর মুহাম্মদ তান্ত্রি ওরফে নুর ত্রালি। তাকে জয়েশ কমান্ডার গাজি বাবার ঘনিষ্ঠ মনে করা হয়। পার্লামেন্ট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকে ২০০৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০১১ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পায়। কিন্তু প্যারোলে থাকা অব্স্থায় পুনরায় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। জয়েশ’র বেশ কয়েকটি হামলায় ত্রালির নাম জড়িয়ে আছে।

পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা

গোয়েন্দা সূত্রের মতে, ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে ত্রালির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে সে জয়েশের হয়েও কাজ করছে। ত্রালিকে নিয়ে প্রকাশিত জয়েশ’র একটি বইয়ে এটা দাবি করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ত্রালি পুলওয়ামাতে এক অভিযানে নিহত হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হন মাসুদ আজহারের ঘণিষ্ট পাকিস্তানি জঙ্গি মুফতি ওয়াকাস। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মর সুঞ্জুয়ান সেনাঘাঁটিতে হামলার মূলহোতা এই মুফতি। ওই হামলায় ছয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।

সূত্র মতে, ত্রালি ও ওয়াকাস ছিলেন আফজাল গুরু স্কোয়াডের সদস্য। স্থানীয়দের মধ্য থেকে কর্মী সংগ্রহের জন্য তারা একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে। ২০১৭ সালে মাসুদ আজহার নিজের ভাইপো তালহা রশিদকে ওয়াকাসের অধীনে কাজ করতে পাঠান। ২০১৭ সালের অক্টোবরে বন্দুকযুদ্ধে তালহা নিহত হয়। ২০১৮ সালের মার্চে হত্যা করা হয় ওয়াকাসকে।  কিন্তু এর মধ্যেই ত্রালি-ওয়াকাসের প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জয়েশ উপত্যকায় নিজেদের সংঘঠিত করে। ২০১৭ সালের বেশ কয়েকটি হামলায় ওয়াকাসের নাম ওঠে এসেছে গোয়েন্দা তদন্তে।

পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় নিহতদের মরদেহ

২০১৮ সালের শেষ দিকে জয়েশ কাশ্মির সংঘাতে নতুন মোড় দেয় স্নাইপার হামলার মধ্য দিয়ে। ওই বছরের অক্টোবরে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী জয়েশ’র স্নাইপার স্কোয়াডকে নিষ্ক্রিয় করলে দেখা যায়, এই স্কোয়াডের শীর্ষ কমান্ডার মাসুদ আজহারের আরেক ভাইপো উসমান হায়দার।

ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর এতো অভিযানের পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ৫০ বছরের মাসুদ আজহার। সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ১১ সন্তানের একজন তিনি। করাচিতে মাদ্রাসায় পড়ার সময়েই হরকাত-উল-আনসারের সংস্পর্শে আসেন তিনি। পরে মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার অনেক ছাত্রই আফগানিস্তানে জিহাদে যোগ দেয়।

/এএ/
সম্পর্কিত
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
সর্বশেষ খবর
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
নির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভানির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ