ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেঁধে দেওয়া সময়সীমা তিন দিন বাকি থাকায় নতুন করে ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর অনুরোধ নিয়ে ইইউ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মঙ্গলবার তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে বার্লিনে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বুধবার যুক্তরাজ্যের অনুরোধে ব্রেক্সিট সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। ইইউ নেতাদের জরুরী বৈঠকের আগে কূটনীতিকদের কাছে সরবরাহ করা এক নথি হাতে পাওয়ার দাবি করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে বলা হলেও নথিতে তারিখের জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে তৈরি হয় ব্রেক্সিট চুক্তি। এ চুক্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস করানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তিন দফায় তা হাউস অব কমন্সে পাস করাতে ব্যর্থ হন। তবে তৃতীয় দফায় চুক্তিটি পার্লামেন্টে তোলার আগে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে সমর্থ হন থেরেসা মে। আগামী ১২ এপ্রিল সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নতুন করে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে থেরেসার অনুরোধে সমর্থন দিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট-ইস্যুতে অচলাবস্থা কাটাতে বিরোধী দলের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসার আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। দুই পক্ষই ব্রেক্সিট এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট রবার্ট তুস্ক বলেছেন, জুনের শেষ নাগাদ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদিত হবে এমনটি বিশ্বাস করার কারণ খুবই কম। ইইউ নেতাদের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন, সদস্য দেশগুলোকে একটি বিকল্প এবং সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করতে হবে, যা হবে নমনীয়।