সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বৈঠক হতে পারে যে জল্পনা চলছিল, তা নাকচ করে দিয়েছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভীশ কুমার জানিয়েছেন, এসসিও সম্মেলনে মোদি-ইমরান বৈঠকের কোনও কর্মসূচি নেই।
মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে এসেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সোহেল মাহমুদ। ব্যক্তিগত কাজে তিনদিন দিল্লিতে থাকার কথা রয়েছে তার। অন্যদিকে, ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া ঈদ উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ডক্টর আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করেছেন। এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে আশা প্রকাশ করা হয়েছিল, কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আগামী ১৩-১৪ জুন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলনের ফাঁকে দেখা করতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই খবর প্রত্যাখ্যান করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়ের মুখপাত্র রবেশ কুমার এ ধরনের কোনও বৈঠকের সম্ভাব্যতা নাকচ করে দিয়েছেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিং-এ রভীশ বলেছেন, ‘আমি যতোদূর জানি সাংহাই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কোনও বৈঠকের পরিকল্পনা নেই৷' তা হলে পাক বিদেশ সচিব ভারতে এসেছেন কেন? উত্তরে রভীশ কুমার জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন৷ তাঁর ভারতে আসার সঙ্গে মোদি-ইমরান খান বৈঠকের কোনও সম্পর্ক নেই৷’ ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে: আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ ফের দিল্লির মসনদ দখল করার পর ইমরান ফোন করে অভিন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি উপমাহাদেশের শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। উত্তরে মোদী জানান, শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার পূর্বশর্ত হল, সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত পরিবেশে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা গড়ে তোলা।