ভারত শাসিত কাশ্মিরের সিয়াচেন হিমবাহে তুষারধসে চার সেনা সদস্য ও দুই বাহক নিহত হয়েছে। সোমবার দেশটির এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হিমালয় পর্বতমালার প্রায় ১৯ হাজার ফুট উচ্চতায় টহল দেওয়ার সময় আট ব্যক্তি তুষারধসের কবলে পড়ে। পরে তাদের উদ্ধার করে সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ছয় জন মারা যায়।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র বলে পরিচিত সিয়াচেন হিমবাহ। হিমালয়ের কারাকোরাম পর্বতমালার ২০ হাজার ফুট উঁচুতে এর অবস্থান। আলোচনা চালিয়েও এই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন না করার বিষয়ে সম্মত হতে পারেনি ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৮৪ সালে এই হিমবাহের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত। তারপর থেকে যুদ্ধের চেয়ে বেশি সেনা সেখানকার আবহাওয়ার কারণে মারা গেছে।
সোমবার ভারতের এক সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে জানিয়েছে, হতাহতরা একটি টহল দলের সদস্য ছিল।বেলা তিনটার দিকে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৮ থেকে ১৯ হাজার ফুট উচ্চতায় তুষারধসের কবলে পড়ে তারা আটকা পড়ে। পরে তাদের উদ্ধারে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। ধ্বংসস্তুপ থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে তাদের কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হাইপোথার্মিয়ায় (শরীরের তাপমাত্রা নেমে যাওয়া) আক্রান্ত হয়ে ছয় জন মারা যায়।
শীতের সময়ে সিয়াচেন হিমবাহ এলাকার তাপমাত্রা মাঝে মাঝে শুন্যের ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিচে নেমে যায়। এই সময়ে সেখানে নিয়মিত ভূমি ও তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেখানকার একটি সামরিক চৌকিতে তুষারধসে দশ ভারতীয় সেনা নিহত হয়।